জেটি থেকে স্ত্রীকে সমুদ্রে ঠেলে ফেলে দেন প্রবীণ। ছবি: প্রতীকী
৭৯ বছরের স্ত্রী বিশেষ ভাবে সক্ষম। তাঁকে নিয়ে সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়েছিলেন ৮১ বছরের প্রবীণ। জেটিতে উঠে হুইলচেয়ারে বসে থাকা স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন সমুদ্রে। পরে নিজের দোষ স্বীকার করেন প্রবীণ। জানান, বছরের পর বছর বিশেষ ভাবে সক্ষম স্ত্রীর দেখভাল করতে করতে তিনি ‘ক্লান্ত’।
প্রবীণের নাম হিরোশি ফুজিওয়ারা। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ৩ নভেম্বর স্ত্রী টেরুকোকে নিয়ে ওইশো জেটিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই স্ত্রীকে সমুদ্রে ঠেলে ফেলে দেন। বাড়ি ফিরে বড় ছেলের কাছে দোষ কবুল করেন। এর পর তাঁর ছেলে পুলিশকে খবর দেন। বলেন, ‘‘আমার বাবা বলেছেন, তিনি মাকে সমুদ্রে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন’’। সমুদ্রে দেহ ভেসে উঠতে দেখে এক জন থানায় ফোন করেন। পরে দেহটি টেরুকোর বলে শনাক্ত করা হয়।
হিরোশি জেরায় জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ছাড়া বাড়িতে আর কেউ থাকতেন না। গত ৪০ বছর ধরে বিশেষ ভাবে সক্ষম স্ত্রীর দেখভাল করছেন। আর পারছেন না এই কাজ করতে। তিনি ক্লান্ত। তাই স্ত্রীকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। ৮১ বছরের প্রবীণকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, জাপানে জনসংখ্যা ১২ কোটি ৬০ লক্ষ। তার চার ভাগের এক ভাগের বয়সই ৬৫ বছরের বেশি। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালে ১৭ হাজার ২৮১ জন প্রবীণ পরিবারের সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। তাঁদের মারধর করা হয়েছে। আর এই নিগ্রহের জেরে মারা গিয়েছেন ২৫ জন প্রবীণ।