Twitter

কোন টুইট করে বেকায়দায় খোদ টুইটার সিইও?

তিনি জ্যাক ডোরসি। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারের সিইও। টুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যাও প্রায় ৪০ লক্ষ। কিন্তু সেই টুইটারেই বেকায়দায় পড়লেন প্রধান কর্মকর্তা জ্যাক ডোরসি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৪৪
Share:

বিতর্কে খোদ টুইটার সিইও। ছবি: রয়টার্স

তিনি জ্যাক ডোরসি। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারের সিইও। টুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যাও প্রায় ৪০ লক্ষ। কিন্তু সেই টুইটারেই বেকায়দায় পড়লেন প্রধান কর্মকর্তা জ্যাক ডোরসি

Advertisement

গত নভেম্বরে মায়ানমারে ঘুরতে গিয়েছিলেন ডোরসি। ভ্রমণ করেছেন মায়ানমারের উত্তরাংশে। তখনই মায়ানমার নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি টুইট করেছিলেন ডোরসি। সেখানে মায়ানমারকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে টুইট করেই বেকায়দায় পড়েছেন টুইটারের প্রধান কর্তা। ছুটি কাটানোর সঙ্গে সঙ্গেই মূলত মেডিটেশন বা ধ্যানই ছিল তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য। ডোরসি আরও লেখেন যে মায়ানমারের মানুষেরা অসাধারণ আর খাবার-দাবারও তুলনাহীন।

কিন্তু টুইটারে তাঁর ফলোয়ারদের মধ্যে অনেকেই ভাল ভাবে নেননি ডোরসির এই বার্তা। মায়ানমারকে ভ্রমণের জন্য আদর্শ গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরলেও সেখানে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তিনি একেবারেই উপেক্ষা করে গেছেন বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: উত্তেজক চার শব্দ! আর্কষণ করার নয়া ট্রেন্ডে ভাসছে টুইটার!

রোহিঙ্গা বিতর্কে বিগত কয়েক বছর ধরেই জেরবার মায়ানমার। গত বছর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে সেনা অভিযান চালানোর পরে আরও চরমে ওঠে বিতর্ক। সেই অভিযানে শিশু ও নারী-সহ কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ মারা যান বলে খবর। মানবাধিকার সংস্থাগুলি বহু রোহিঙ্গা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ আনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তাঁদের গ্রাম ও জমির ফসলও জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। জীবন বাঁচাতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। আসতে শুরু করেছেন ভারতেও।

আরও পড়ুন: স্মার্ট রিপ্লাই এ বার গুগল হ্যাংআউটেও!

কিন্তু এই সব সমস্যা উপেক্ষা করে মায়ানমারকে শুধুই একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরায় নিন্দার মুখে পড়েছে ডোরসির টুইট। এমনকি, গণহত্যার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে এবং হিংসা ছড়াতে টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মকেও ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অনেকেই বলেন যে কী ভাবে টুইটারের মাধ্যমে হিংসা ছড়িয়ে দিচ্ছে মায়ানমার সরকার ও তার সমর্থকেরা, সেই দিকে নজর দেওয়া উচিত টুইটার সিইওর।

যদিও পরে ডোরসি টুইটারের লেখেন যে, মায়ানমারে তিনি শুধুই ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং অন্য কোনও উদ্দেশ্যই তাঁর ছিলনা। রোহিঙ্গা সমস্যার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ধারণা থাকলেও আরও না জেনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement