Turkey

ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে পাকিস্তানের জন্য উন্নত যুদ্ধজাহাজ বানাচ্ছে তুরস্ক

গোটা বিশ্বে যে ১০টি দেশ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজের নকশা, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল তুরস্ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আঙ্কারা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৪৮
Share:

পাক-তুরস্ক সম্পর্ক চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতের। —ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রপুঞ্জে খোলাখুলি পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়েছিল আগেই। এ বার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ইমরান খান সরকারকে সাহায্য করতে চলেছে তুরস্ক। পাক নৌবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ তৈরি করছে তারা। নিজেই তার ঘোষণা করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তইপ এর্দোয়ান।

Advertisement

রবিবার ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি নয়া রণতরী ‘টিসিজি কিনালাদা’-কে নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এর্দোয়ান। সেখানে পাক নৌবাহিনীর কম্যান্ডার অ্যাডমিরাল জাফর মেহমুদ আব্বাসির উপস্থিতিতে জাতীয় যুদ্ধজাহাজ প্রকল্প ‘মিলি জেমি প্রজেসি’(মিলজেম)-র আওতায় পাকিস্তানের জন্য অত্যাধুনিক রণতরী তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। এর্দোয়ান জানান, পাকিস্তান ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। তুরস্ক নির্মিত এই রণতরী হাতে পেলে পাকিস্তান লাভবান হবে।

গোটা বিশ্বে যে ১০টি দেশ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজের নকশা, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল তুরস্ক। ২০১৮-র জুলাই মাসে তাদের কাছ থেকে চারটি মিলজেম রণতরী কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করে পাকিস্তান, যার মধ্যে প্রথম দু’টি তুরস্কে তৈরি হবে। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাকি দু’টি তৈরি হবে পাকিস্তানে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি, প্রায় ৩২৪ ফুট দীর্ঘ এই রণতরী দু’হাজার ৪০০ টন ওজন বইতে সক্ষম। গতিবেগ ঘণ্টায় ২৯ নটিক্যাল মাইল। এই রণতরী রেডারকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছে সে দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদলু।

Advertisement

আরও পড়ুন: এক রাষ্ট্র, দুই নীতি চিনফিংয়ের মুখে​

আরও পড়ুন: বিশ্বের পাঁচটি রহস্যময় দরজা, যা আজও খোলা যায়নি, কী রয়েছে এর পিছনে?​

তবে তুরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের এই দহরম মহরমে উদ্বেগ বেড়েছে ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের। কারণ চলতি মাসের শেষেই প্যারিসে আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফিনানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর বৈঠক। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে সেখানে। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাদের পাকাপাকি কালো তালিকায় রাখা হবে কি না। সেখানে তুরস্ক বাগড়া দিতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। জম্মু-কাশ্মীর প্রশ্নে সম্প্রতি মালয়েশিয়াও পাকিস্তানের পক্ষ নেয়। তাদের অবস্থানের দিকেও নজর রাখছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement