ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরাক থেকে সেনা সরাবে বলে চিঠি পাঠিয়েও আমেরিকা জানিয়ে দিল, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বলা হল, ওটা নাকি চিঠিই নয়। চিঠির খসড়া। ভুল করে পাঠানো হয়েছিল! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য গত কালই জানিয়ে রেখেছেন, ইরাকে সেনা ঘাঁটি গড়তে যথেষ্ট খরচ হয়েছে আমেরিকার। ইরাক থেকে সেই অর্থ আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেনা ফেরানোর প্রশ্ন নেই।
ইরাকের মাটিতে শুক্রবার ভোররাতে ইরানি সেনা জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করেছে মার্কিন সেনা। তাদের অভিযানে নিহত হয়েছে ইরাকের পার্লামেন্টারি বাহিনী ‘হাশেদ অল-শাবি’-র ডেপুটি চিফ আবু মহদি অল-মুহান্দিস-ও। এতে পরস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। এটিকে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বলে মনে করছে ইরাক। তাদের দেশে কোনও বিদেশি সেনা থাকতে পারবে না বলে গত কাল প্রস্তাবও গ্রহণ করেছে ইরাকের পার্লামেন্ট।
এই সূত্রে ইরাকি কর্তাদের উদ্দেশে মার্কিন সেনার মেরিন কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউলিয়াম এইচ সিলির লেখা একটি চিঠি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সেটিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, আমরা তাকে মর্যাদা জানাচ্ছি। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীকে স্থানান্তরিত করা হবে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হবে মার্কিন সেনারা। কিন্তু তার আগে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ
করতে হবে। যাতে ইরাক ছেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি নিরাপদে ও দক্ষতার সঙ্গে হয়।’’
কোথাও একটা ভুল হচ্ছে বুঝে, কিংবা পরিকল্পিত কূটনৈতিক কৌশলের অঙ্গ হিসেবে এর পরপরই মাঠে নামেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার। ঘোষণা করেন, ‘‘ইরাক থেকে মার্কিন সেনা সরানোর কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি আমেরিকা।’’ যৌথ ভাবে আইএস-বিরোধী অভিযান চালাতে ইরাকে বিভিন্ন দেশের সেনা রয়েছে। তাদের মধ্যে মার্কিন ফৌজের সংখ্যা ৫ হাজার। এস্পার জানিয়ে দেন, ‘‘আইএসকে পরাস্ত করার সিদ্ধান্তে অনড়ই রয়েছে আমেরিকা।’’
এস্পারের ঘোষণার আগে পাঠানো সিলির ওই ‘চিঠি’-র তাৎপর্য তবে কী?
সরকারি ভাবে না-হলেও ঘরোয়া ভাবে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘ওটা আসলে চিঠির খসড়া মাত্র। ওতে কারও স্বাক্ষরই নেই। সেনা সরানো হচ্ছে— এমন একটা ভুল বার্তা ছিল ওই খসড়ায়। ভুল করে সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’