ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি রয়টার্স
সাদা বেসবল ক্যাপ আর পোলো শার্ট পরে শনিবার সকাল সকালই হোয়াইট হাউস থেকে বেরোতে দেখা যায় তাঁকে। রোদ ঝলমলে আবহাওয়ায় রওনা হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়ি। পিছনে মুখে মাস্ক পরে তাঁর সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। গাড়ি থামে ভার্জিনিয়ায় ট্রাম্পের নিজস্ব গল্ফ ক্লাবের সামনে। সেখানে দিনভর তাঁর গল্ফ খেলার ছবি ধরা পড়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়।
বিশ্বে এখনও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির তালিকায় শীর্ষে আমেরিকা। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৯ হাজারের কাছাকাছি। জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সাবধান করেছেন, এত তাড়াতাড়ি লকডাউন তুললে অচিরেই লক্ষ ছাড়াবে মৃত্যু। কে শোনে কার কথা! ‘আমেরিকা ফের স্বাভাবিক হচ্ছে’, এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে খোদ প্রেসিডেন্টই নেমে পড়েছেন গল্ফের মাঠে। ট্রাম্প নাগাড়ে বলে চলেছেন ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করে অর্থনীতি সচল করার কথা। বলেছেন, রোগী ও মৃত্যু কমছে দেশে। এ-ও বলছেন, গ্রীষ্ম শুরু হচ্ছে। এই তো রাস্তায় বেরিয়ে দেদার আনন্দ করার সময়! তা ছাড়া করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের সদস্য ডেবোরা বারক্স তো বলেই দিয়েছেন, ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ডের মতো জায়গাগুলিতে সংক্রমণের মাত্রা উদ্বেগজনক, তবে সুরক্ষাবিধি মেনে চললে গল্ফ খেলায় বা বাড়ির লোকেদের সঙ্গে পিকনিক করায় কোনও বাধা নেই।
এ দিকে, উহানের যে গবেষণাগার থেকে করোনা ছড়ায় বলে অভিযোগ, সেটির ডিরেক্টর জানিয়েছেন, বাদুড়ের দেহে পাওয়া যায় এমন তিন ধরনের করোনাভাইরাস সেখানে থাকলেও ওগুলির সঙ্গে নোভেল করোনাভাইরাসের মিল নেই। চিনের অভিযোগ, উত্তেজনা বাড়িয়ে আমেরিকা ‘নতুন ঠান্ডা যুদ্ধের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে দু’টি রাষ্ট্রকেই। আজ সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনার উৎস জানতে আন্তর্জাতিক তদন্তে সহযোগিতায় রাজি চিন। তবে সেই তদন্ত যেন ‘রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত’ হয়।
লকডাউন ভেঙে লন্ডন থেকে ৪০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে গত কাল নিজের পৈতৃক বাড়ি যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রী ডমিনিক কামিংস। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর করোনার উপসর্গ রয়েছে। তা সত্ত্বেও আজ ফের সফর করেন তিনি। ওই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।