Toxic Gas

Toxic Yellow Gas Leak: বিষাক্ত হলুদ ধোঁয়ায় ঢাকল জাহাজ! মুহূর্তে মৃত্যু ১২ জনের, প্রকাশ্যে ভয় ধরানো ভিডিয়ো

জাহাজের ডেকে কর্মীদের হাঁসফাঁস করতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, উজ্জ্বল হলুদ রঙের গ্যাসের কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ১১:৩০
Share:

জর্ডনের আকাবা বন্দরে গ্যস লিকের মুহূর্ত। ছবি : টুইটার থেকে।

জাহাজে রাসায়নিকের ট্যাঙ্ক বোঝাই করা হচ্ছিল। ক্রেনে করে বন্দর থেকে একে একে ক্লোরিন গ্যাসে ভর্তি ট্যাঙ্ক নামিয়ে দেওয়া হচ্ছিল ডেকের উপরে। আচমকাই একটি প্রমাণ আকৃতির ট্যাঙ্ক ক্রেনের লোহার হাত ফসকে পড়ে গেল নীচে!

Advertisement

মুহূর্তের মধ্যে উজ্জ্বল হলুদ বিষাক্ত ধোঁয়া বেরিয়ে এল জাহাজের ডেক থেকে। সেই ধোঁয়া মেঘের মতো বিশাল আকৃতি নিয়ে ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলল চারপাশ। জর্ডনের আকাবা শহরের লাগোয়া বন্দরের এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১২ জন মারা গিয়েছেন। বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অন্তত ২৫০ জন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে। অনেকই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ (জর্ডনের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর সোয়া তিনটে) ঘটনাটি ঘটে। পরে জর্ডনের সরকারি বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থাও গ্যাসদুর্ঘটনার কথা জানায়। পরিস্থিতি সামলাতে বন্দর শহরে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসাশন। পাশাপাশি, সাবধানতার জন্য জর্ডনের আকাবা শহরের বাসিন্দাদের বাড়ির দরজা জানলা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন নগর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ঘটনাটি দুর্ঘটনা, না কি এর নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জর্ডনের প্রধানমন্ত্রী বিশের আল খাসাওনে। যদিও জর্ডনের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ক্রেনের যে লোহার তারে রাসায়নিকের ট্যাঙ্কটি বাঁধা ছিল সেটি ছিঁড়ে যায়। এক একটি ট্যাঙ্কে ২৫ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত ক্লোরিন গ্যাস ভরা ছিল। উপর থেকে ট্যাঙ্ক নীচে পড়তেই তা ফেটে গিয়ে ওই গ্যাস বেরিয়ে আসে।

সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত হলুদ ধোঁয়া থেকে বাঁচতে পড়িমড়ি ছুটছেন বন্দরের কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জাহাজের ডেকে কর্মীদের শ্বাস নিতে না পেরে হাঁসফাঁস করতেও দেখেছেন তাঁরা। ঘটনাটির ভিডিয়োটি টুইটারেও ছড়িয়ে পড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement