ইজ়রায়েলি সেনার হামলা গাজ়ায় মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। — ফাইল চিত্র।
এ বার স্থলভাগ দিয়ে গাজ়ায় হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েলের সেনা। মিশর দিয়ে গাজ়ার হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঢুকেছে তারা। লাগাতার নিক্ষেপ করছে বোমা। সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে। যাঁরা যাবেন না, তাঁদের হামাসের সমর্থক হিসাবেই ধরে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি ইজ়রায়েলের। এর মধ্যেই তাদের দাবি, হামলায় নিহত হয়েছেন হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপপ্রধান মহম্মদ কাটামাস। জেনিনের আল-আনসার মসজিদেও বিমান হানা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। দাবি করেছে, হানায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জন সন্ত্রাসবাদীর।
ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হেজবোল্লা গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমানহানা চালিয়েছে তারা। এর আগে ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল হেজবোল্লা। তারই জবাবে বিমানহানা। হামাস চালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজ়রায়েলি হামলায় গাজ়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪,৬৫১ জন। তাদের মধ্য ১,৮৭৩টি শিশু।
এখানেই শেষ নয়। হামাসকে হাতে এবং ভাতে মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সে কারণে গাজ়ার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। এখন জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করেছে ইজ়রায়েল। ফলে গাজ়া প্রায় বিদ্যুৎহীন। বিপদের মুখে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ১২০টি সদ্যোজাত হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রয়েছে। জ্বালানি শেষ হয়ে আসার কারণে তাদের আর ইনকিউবেটরে রাখা সম্ভব হবে না। ফলে ঝুঁকির মুখে তাদের জীবন।
এই যুদ্ধের আবহে ইজ়রায়েলে আটকে পড়া নাগরিকদের উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে ভারত, যার নাম ‘অপারেশন অজয়’। রবিবার ইজ়রায়েল থেকে ষষ্ঠ বিশেষ বিমান ছাড়ল ভারতের। তাতে সওয়ার ছিলেন দুই শিশু-সহ ১৪৩ জন। সওয়ারিদের মধ্যে দুই নেপালি নাগরিকও ছিলেন। ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের শহরে হামলা চালায় হামাস। পাল্টা গাজ়ায় হামলা শুরু করে ইজ়রায়েল। সে দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য ১২ অক্টোবর থেকে ‘অপারেশন অজয়’ শুরু করেছে ভারত।