ধ্বংসস্তূপ গাজ়া। —ফাইল চিত্র।
ইজ়রায়েলি হামলায় গাজ়ায় নতুন করে ৫৫ জনের মৃত্যু হল। রবিবার প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাসের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ইজ়রায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গাজ়ায় হামলার মাত্রা আরও বাড়বে। ইজ়রায়েলের এই হুঁশিয়ারির পর গাজ়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, ইজ়রায়েলের হামলায় দেশের দু’টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে সিরিয়া। সিরিয়ার সরকারি প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো না হলেও সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘সানা’ সেনার একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, খাস রাজধানী দামাস্কাস এবং উত্তরের শহর আলেপ্পোর দু’টি বিমানবন্দর ইজ়রায়েলি হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইজ়রায়েলি হানায় দামাস্কাসে বিমানবন্দরের এক কর্মী মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থাটি। গুরুতর আহত হয়েছেন এক জন। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের উপর হামাস ‘হামলা’ চালানোর পরে ‘প্রত্যাঘাত’ শুরু করে ইজ়রায়েল। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর বড় একটি অংশ চলতি সংঘাতে সরাসরি সমর্থন করেছে হামাসকে। তাই হামাসের পাশাপাশি সিরিয়াকে জব্দ করতে ইজ়রায়েলের এই হামলা কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রবিবার ভোরেই ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের জেনিনে আল-আনসার মসজিদে বিমান হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। তাদের দাবি, এই মসজিদেই ডেরা বানিয়ে সেখান থেকে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল হামাস এবং প্যালেস্তিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) সংগঠন।
এই ঘটনায় কত জনের মৃত্যু হয়েছে, বা আদৌ কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, সেটা স্পষ্ট করতে পারেনি আইডিএফ। তবে প্যালেস্তিনিয়ান রেড ক্রেসেন্ট-এর দাবি, এই হামলায় এক প্যালেস্তিনীয়ের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। আইডিএফের দাবি, অনেক দিন ধরেই ওই মসজিদকে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করছিল হামাস এবং পিআইজে। মসজিদকে কী ভাবে জঙ্গি কার্যকলাপের কেন্দ্র বানিয়ে তোলা হয়েছিল, তার একটি ছবিও প্রকাশ করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।