বিশ্বের বিভিন্ন শহর কতটা নিরাপদ? সমীক্ষা করেছে ‘দ্য ইকনোমিস্ট’ পত্রিকা। একটি তালিকা প্রকাশ করেছে তাদের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। মোট ৫৭টি সূচকের ভিত্তিতে ৬০টি শহরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় ভারতের শহরগুলি অবশ্য বিশেষ সুবিধার নয়।
সূচকগুলির মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, পরিকাঠামোগত নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা। আধুনিক শহুরে জীবনের জন্য এই দিকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের মতামত নিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে তালিকাকে যথাসম্ভব নিখুঁত করার। দাবি, দ্য ইকোনমিস্ট-এর।
সার্বিকভাবে অর্থাৎ বিভিন্ন নিরাপত্তার দিক দিয়ে বিশ্বের সেরা শহরের তকমা পেয়েছে টোকিয়ো। এরপর আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, ওসাকা, আমস্টারডাম ও সিডনি।
তালিকায় ৪৫ নম্বর স্থানে আছে ভারতের মুম্বই। আরও সাত ধাপ পিছিয়ে ৫২ নম্বর স্থানে জায়গা হয়েছে দিল্লির। শেষ স্থানে আছে লাগোস। অর্থাৎ এই শহরকে সবথেকে কম সুরক্ষিত বলে মনে করছে দ্য ইকনমিস্টের সমীক্ষা।
আধুনিক শহুরে জীবন ডিজিটাল নিরাপত্তা ছাড়া অসম্পূর্ণ। ডিজিটাল সিকিয়োরিটি বলতে বোঝায় বিভিন্ন উপায়কে, যার সাহায্যে কম্পিউটারের ইন্টারনেট অ্যাকাউন্ট এবং ফাইলের নিরাপত্তা, লেনদেন সুরক্ষিত করা যায়। অর্থাৎ হ্যাকার ও সাইবার ক্রাইমের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকাই ডিজিটাল নিরাপত্তা।
ডিজিটাল নিরাপত্তার দিক দিয়ে তালিকার শীর্ষে টোকিয়ো।এরপর প্রথম পাঁচে যথাক্রমে আছে সিঙ্গাপুর, শিকাগো, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লস অ্যাঞ্জেলস ও সান ফ্রান্সিসকো যুগ্মভাবে পঞ্চম।
ডিজিটাল নিরাপত্তার দিক দিয়ে বিশ্বের ৬০ টি দেশের মধ্যে ৪৭ নম্বর স্থানে আছে ভারতের দু’টি শহর। মুম্বই ও দিল্লি। তালিকার শেষ স্থানে ৬০ নম্বর শহর হল ইয়াঙ্গন।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বা হেলথ সিকিয়োরিটি কার্যত স্বাস্থ্য সুরক্ষা। এর আওতায় পড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতাও। এই তালিকার প্রথমেও জাপানের শহর, ওসাকা। তারপরে প্রথম পাঁচে আছে যথাক্রমে টোকিয়ো, সোল, আমস্টারডাম ও স্টকহলম যুগ্মভাবে চতুর্থ স্থানে, পঞ্চম স্থানে ফ্রাঙ্কফুর্ট।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার তালিকায় ভারতের মুম্বই ৫০ নম্বরে এবং দিল্লি আছে ৫১-এ। তালিকার সর্বশেষ শহর লাগোস।
এ বার পরিকাঠামোগত সুরক্ষা। ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিয়োরিটির মধ্যে পড়ে দেশের বিমানবন্দর, হাইওয়ে, রেলপরিবহণ, হাসপাতাল, সেতু, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা-সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধে। দ্য ইকনমিস্টের সমীক্ষার দাবি, এই সূচকে সবার উপরে আছে সিঙ্গাপুর।
পরিকাঠামোগত নিরাপত্তার দিক দিয়ে প্রথম পাঁচের বাকি শহরগুলি হল ওসাকা, বার্সেলোনা, টোকিয়ো ও মাদ্রিদ। ভারতের মুম্বই ৫০ নম্বরে। আরও সাত ধাপ পিছিয়ে জায়গা পেয়েছে দিল্লি। শেষ স্থানে ক্যারাকাস।
ব্যক্তিগত সুরক্ষার সূচকগত তালিকার প্রথমে আছে সিঙ্গাপুর। তারপর প্রথম পাঁচে আছে যথাক্রমে কোপেনহাগেন, হংকং, টোকিয়ো এবং ওয়েলিংটন।
একমাত্র এই তালিকায় ভারতের দু’টি শহরের স্থান তুলনামূলকভাবে ভাল। ৩৭ নম্বরে আছে মুম্বই এবং ৪১-এ জায়গা পেয়েছে দিল্লি। তালিকার শেষ শহর লাগোস।