—প্রতীকী চিত্র।
তাদের তেল শোধনাগারকে নিশানা করেছিল ‘শত্রুর’ পাঠানো ড্রোন। যা সাফল্যের সঙ্গে রুখে দিয়েছে রাশিয়া। ধ্বংস করেছে তিন-তিনটি ইউক্রেনীয় ড্রোনকে। আজ এমনটাই দাবি করল রুশ সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ সীমান্তের কাছে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ওই তৈল শোধনাগারটি। ব্রায়ানস্কের গভর্নর আলেকজ়ান্ডার বোগোমাজ় বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। নিশানা ছিল নোভোজ়িবকোভ ডিস্ট্রিক্টের ‘ড্রুজ়বা’ তৈল শোধনাগার। রুশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তা প্রতিহত করেছে। আমাদের সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে... তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’ কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করেননি গভর্নর।
সাম্প্রতিক কালে ড্রোনের সাহায্যে হামলার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে কিভ ও মস্কো, দুই পক্ষই একাধিক বার ‘শত্রুর’ ড্রোন ধ্বংস করার দাবি জানিয়েছে। রাশিয়ার মাটিতে ইউক্রেনের অন্যতম লক্ষ্য তেল শোধনাগার বা তেল মজুত রাখার জায়গাগুলি। রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়াতেও নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। কিভ দাবি করেছে, হাতছাড়া হওয়া অন্যান্য অঞ্চলের পাশাপাশি তারা ক্রাইমিয়াকেও দখলদার-মুক্ত করবে।
ক্রাইমিয়ায় মস্কোর নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনোভ জানিয়েছেন, সম্প্রতি ৯টি ড্রোন হামলা আটকানো হয়েছে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার দক্ষিণের শহর ভোরোনেজ়ে একটি আবাসনে এসে আছড়ে পড়ে ইউক্রেনীয় ড্রোন। দু’জন জখম হন ওই ঘটনায়।
সাধারণত রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে ইউক্রেনের হামলার ঘটনা শোনা যায়। কখনও ড্রোন হামলা তো কখনও ক্ষেপণাস্ত্র হানা। ভোরোনেজ় রাশিয়ার সীমান্ত থেকে অনেকটাই ভিতরে। এত ভিতরে অবস্থিত কোনও শহরে প্রথম এমন হামলা চলল। এমনটাই দাবিরাশিয়ার সেনার।