Donald Trump Assassination Attempt

ট্রাম্পকে মারতে ৫০টি গুলি কিনেছিলেন যুবক! সভায় নিয়ে গিয়েছিলেন বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি: এফবিআই

আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, পেনসিলভেনিয়ার সভায় যুবক গাড়িতে করে বিস্ফোরক নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি থেকেও আরও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৩:১২
Share:

(বাঁ দিকে) ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা যুবক। গুলি কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর রক্তাক্ত ট্রাম্প (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করতে ৫০টি গুলি কিনেছিলেন টমাস ম্যাথু ক্রুকস, তেমনটাই জানা গিয়েছে আমেরিকার পুলিশ সূত্রে। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, পেনসিলভেনিয়ার ওই সভায় যুবক বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িও নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশকে ফোন করে যুবকের বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁর সংগ্রহ থেকে একটি বন্দুক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুত্রের গতিবিধি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

Advertisement

বেথেল পার্ক এলাকায় বাড়ি ক্রুকসের। সেখান থেকে ট্রাম্পের সভাস্থলের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। ঘটনার পর বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েছেন পুলিশ এবং এফবিআইয়ের আধিকারিকেরা। যুবকের বাড়ি থেকে অনেক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পেনসিলভেনিয়ার আইন অনুসারে, সাধারণ নাগরিকেরা আগ্নেয়াস্ত্র তালাবন্ধ রাখতে বাধ্য নন। তবে তাঁদের নিরাপদ স্থানে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এফবিআই জানিয়েছে, যে গাড়িতে করে ট্রাম্পের সভায় পৌঁছেছিলেন ক্রুকস, তার মধ্যে ছিল বিস্ফোরক ভর্তি একটি ধাতব বাক্স। কী উদ্দেশ্যে গাড়িতে বিস্ফোরক নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, সভায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

ক্রুকসের মোবাইল ফোনে ট্রাম্প এবং আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছবি পাওয়া গিয়েছে। তিনি ট্রাম্পের সভার বিষয়ে ফোন থেকে সার্চও করেছিলেন। এ ছাড়া, মানসিক অবসাদের বিষয়েও তথ্য খোঁজা হয়েছিল ওই ফোন থেকে।

যে এআর-১৫ বন্দুকটি দিয়ে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন ক্রুকস, সেটি তাঁর বাবার নামেই নথিভুক্ত ছিল, জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বাড়িতে ওই ধরনের আরও বন্দুক ছিল। বন্দুক খুঁজে না পেয়ে পুলিশকে ফোন করেছিলেন যুবকের বাবা। অনেকে বলছেন, তিনি পুলিশকে ফোন করে খবর দেন ঘটনার আগেই। অনেকের মতে, গুলি চালানোর পর ফোন করা হয় পুলিশকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement