হগওয়ার্টের জাদু শেখার স্কুলের ছাত্র ছিল হ্যারি পটার। সেই স্কুলে এমন একটি গোপন ঘর ছিল যার কথা কারও জানা ছিল না।
সকলের অগোচরে সালাজার স্লিদারিন নামে এক ব্যক্তি ওই গোপন ঘর তৈরি করেছিলেন। সেই ঘরে আটকে রেখেছিলেন ব্যাসিলিক্স নামে এক সাপকে।
গোপন ঘরের দরজা খুললেই সেই সাপ জাদু স্কুলের ছাত্র এবং শিক্ষকদের কাছে ত্রাস হয়ে দাঁড়ায়। সাপের ছোঁয়ায় পাথর হয়ে যেতে শুরু করেন স্কুলের সকলেই।
‘হ্যারি পটার অ্যন্ড চেম্বার অব সিক্রেটস’। হ্যারি পটার সিরিজের যতগুলো ছবি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এটি। যার পুরো চিত্রনাট্য জুড়েই রয়েছে টানটান রোমাঞ্চ।
গোপন ঘরে খোঁজ পাওয়া, তার দরজা খুলে ভিতরে লুকিয়ে রাখা দানব সাপকে মুক্ত করা, দানব সাপের ভয়ে গুটিয়ে থাকা এবং সর্বোপরি সেই দানবকে নিয়ন্ত্রণে আনা, এ ভাবেই চিত্রনাট্য এগিয়ে চলে ‘হ্যারি পটার অ্যন্ড চেম্বার অব সিক্রেটস’-এর।
এ বার হ্যারি পটার গল্পের সেই গোপন ঘরের খোঁজ মিলল বাস্তবেও। সান ফ্রান্সিসকোয় রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে চোখ পড়ে যেতে পারে এই গোপন ঘরের সেই দরজায়।
সান ফ্রান্সিসকোর লমবার্ড স্ট্রিটে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি হ্যারি পটারের গোপন ঘর, ‘চেম্বার অব সিক্রেটস’।
ওই গোপন ঘরের দরজায় সাপের নকশা করা। পাশাপাশি দু’টি দরজা রয়েছে। যার একটিতে ৭টি সাপের নকশা করা রয়েছে।
অন্যটিতে পাহারায় রয়েছে স্বয়ং ব্যাসিলিক্স। দরজা জুড়ে লাগানো রয়েছে বিশালাকার ওই সাপের মূ্র্তি।
তবে পর্দার সঙ্গে বাস্তবের এই গোপন ঘরের পার্থক্য একটাই। হ্যারি পটার ছবির সেই গোপন ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করা গেলেও বাস্তবের ‘গোপন ঘর’ কিন্তু রয়েছে ব্যক্তিগত মালিকানায়। আর তাই সেখানে ঢুকতে প্রয়োজন মালিকের অনুমতির।
কারণ এটি শুধুই পর্দার ‘চেম্বার অব সিক্রেটস’-এর প্রতিবিম্ব। সান ফ্রান্সিসকোর লমবার্ড স্ট্রিটের রাস্তায় হাঁটার সময় যেটি চোখে পড়বে তা আসলে দু’টি আবাসনের দরজার কারুকার্য।
হ্যারি পটারের কথা মাথায় রেখেই রাস্তার পাশে একটি বাড়ির দরজায় ওই কারুকার্য করেছেন শিল্পী স্টিভ পেনেট্টি।
ওই রূপকথা ছবির ভক্ত স্টিভ। হ্যারি পটারের শ্রষ্টাকে সম্মান জানাতেই শিল্পীর এই প্রয়াস। পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও এটি অন্যতম আকর্ষণ।