ঋষি সুনক।
দশ ডাউনিং স্ট্রিটের রাস্তায় এখন পরিষ্কার। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন ঋষি সুনক। ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিক। সোমবার দীপাবলির রাতে এই সুখবর আসার পর থেকেই ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক সঙ্কট সামলানোর পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টিও তাঁর নজরে রয়েছে। তেমন ইঙ্গিত আগেই অবশ্য দিয়ে রেখেছেন সুনক।
কনজা়রভেটিভ পার্টি সূত্রে খবর, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের সম্পর্ক তৈরি করতে চান ভাবী প্রধানমন্ত্রী। যাতে ব্রিটেনের ছেলেমেয়েরাও ভারতে গিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পান। ব্রিটেনের কর্পোরেট সংস্থাও ভারতে গিয়ে ব্যবসা করতে পারে। সম্প্রতি উত্তর লন্ডনের অনুষ্ঠানে সুনককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ব্রিটেন এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তিনি কী ভাবছেন? তার জবাবে ভাবী প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু’দেশের মধ্যে জীবন্ত সেতুর প্রতিনিধিত্ব করি আমরা।’’
সুনক আরও বলেছিলেন, ‘‘আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে ভারতে গিয়ে সহজেই পড়াশোনা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা। আমাদের এখানকার সংস্থা এবং ভারতীয় সংস্থা যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা। কারণ, এটা এক তরফা হতে পারে না। দু’তরফে করতে হয়। এই ধরনের কিছু পরিবর্তন আনতে চাই ভারত ও ব্রিটেনের সম্পর্কে।’’