ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত।
যে ‘চোর’দের জন্য পাকিস্তানের উপরে বিপুল ঋণের বোঝা চেপেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত ১০ বছরে কী ভাবে বিপুল ঋণের বোঝা তৈরি হল তা নিয়ে তদন্তের জন্য কমিশনও গঠন করেছেন তিনি। সেই কমিশনে অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে রাখা হয়েছে পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রতিনিধিকেও।
দুর্নীতি-মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই জেলে রয়েছেন নওয়াজ় শরিফ। সোমবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জ়ারদারিকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি-দমন সংস্থা ন্যাব। কাল গ্রেফতার হন পঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভার বিরোধী নেতা হামজ়া শাহবাজ়। এর পরেই কাল মাঝরাতে এক বক্তৃতায় ইমরান বলেন, ‘‘১০ বছরে ৬ লক্ষ কোটি থেকে দেশের ঋণ বেড়ে ৩০ লক্ষ কোটি হয়েছে। এটাই আর্থিক সঙ্কটের কারণ।’’
সম্প্রতি পেশ হয়েছে ইমরান সরকারের প্রথম বাজেট। পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘পাকিস্তান এখন স্থিতিশীল। চাপ আপাতত কিছুটা কমেছে। এ বার যে সব দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার জন্য দেশের এই অবস্থা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। ১০ বছর ধরে যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না।’’ এই তদন্তের জন্য যৌথ কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেছে ইমরান সরকার।
বিরোধীদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হচ্ছে। কিন্তু সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে ইমরানের বক্তব্য, ‘‘আল্লাকে ধন্যবাদ এই সব বড় নেতারা এখন জেলে।’’ ইমরানের কটাক্ষ, ‘‘শরিফ ও জ়ারদারি জেলে রয়েছেন বলে অনেকে
কান্নাকাটি করছেন। কিন্তু ওই দুই নেতা একে অপরকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলতেন। শরিফ জমানায় জ়ারদারি দু’বার জেলে যান। পরে তাঁদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল। পাঁচ বছরের জন্য এক এক জন ক্ষমতায় আসতেন। একে অপরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতেন না।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।