লং ড্রাইভে বেরিয়েছেন! দীর্ঘ পথ স্টিয়ারিং হাতে একঘেয়েমি লাগছে? এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই গাড়ির মিউজিক সিস্টেমটা অন করে দেন। সচরাচর এমনটাই হয়ে থাকে। কিন্তু যদি এমনটা হয়, সেই রাস্তাই পছন্দের সুর-তালে আপনাকে মোহিত করছে! অবাক লাগলেও বিষয়টা কিন্তু অবাস্তব নয়। কোথায় রয়েছে এমন রাস্তা সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গাড়ি চালকদের একঘেয়েমি কাটাতে তাই বেশ কয়েকটি ‘মিউজিক্যাল রোড’ তৈরি করেছে জাপান।
২০১৬-র হিসেব বলছে, গোটা দেশে ৩০টিরও বেশি মিউজিক্যাল রোড রয়েছে এখানে।
মিউজিক্যাল রোডের স্রষ্টা জাপানের ইঞ্জিনিয়র শিজুয়ো শিনোদা। তাঁর পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিউজিক্যাল রোড তৈরি করেছে জাপান।
রাস্তাতেই শব্দের এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। কোথাও স্বল্প ফারাকে, কোথাও আবার বেশি ফারাকে রাস্তার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে সরু চ্যানেল কেটেছেন তাঁরা।
গাড়ি যখন ওই চ্যানেলগুলোর উপর দিয়ে যায়, তখন একটা কম্পন তৈরি হয়। আর সেই কম্পনেই সৃষ্টি হয় সুরের।
চ্যানেলগুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, সেগুলো কখনও জাপানের লোকগাথা, কখনও জনপ্রিয় গানের সুর সৃষ্টি করে।
রাস্তায় যেখানে স্বল্প ফারাকের চ্যানেল রয়েছে সেখানে দ্রুত লয়ের সুর সৃষ্টি হয়। আবার যেখানে বেশি ফারাকের চ্যানেল রয়েছে সেখানে ঢিমে লয়ের সুর সৃষ্টি হয়।
এই রাস্তাগুলো রয়েছে হোক্কাইডো, হিরোশিমা, কিমিনো, মাউন্ট ফুজি এবং গুনমাতে।
কিমিনো শহরের মিউজিক্যাল রোড দিয়ে গেলেই বাজতে শুরু করে জাপানের প্রিয় লোকগাথা ‘নিয়াগেত গোরান ইয়োরু’।
আবার গুনমা শহরের মিউজিক্যাল রোডে যেমন শোনা যায় সে দেশের জনপ্রিয় গান ‘মেমরিজ অব সামার’।