PLANE

ইউএফও থেকে ঘূর্ণিঝড়, ককপিট থেকে যে সব বিচিত্র জিনিস দেখতে পান পাইলটরা!

আকাশের বুকে ভাসতে ভাসতে এমন অনেক কিছুই দেখার সৌভাগ্য হয় বিমানচালকদের,সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকা সে সব জিনিসের কথা জানলে অবাক হবেন!

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১১:০৯
Share:
০১ ১০

মাটির বুকে দাঁড়িয়ে উপরের আকাশ, তার মধ্যে লুকিয়ে থাকা নানা বিস্ময় মনে রোমাঞ্চ জাগায় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আকাশের বুকে ভাসতে ভাসতে এমন অনেক কিছুই দেখার সৌভাগ্য হয় বিমানচালকদের,সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকা সে সব জিনিসের কথা জানলে অবাক হবেন!

০২ ১০

ইউএফও:একাধিক বিমানচালকের দাবি, ককপিটে বসে বহু বার আনআইডেনটিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টস বা ইউএফও-র দেখা পেয়েছেন তাঁরা। ১৯৪৭ সালে বিমানচালক কেনেথ আর্নল্ড শিয়াটেলের আকাশে ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের মতো ইউএফও দেখতে পান বলে প্রথম দাবি করেন। সম্প্রতি ২০১৮-র নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের উপকূলের কাছেও এর সন্ধান মিলেছে বলে বিমানচালকরাজানান।

Advertisement
০৩ ১০

বিদ্যুৎ: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বহু বার বাজের সম্মুখীন হয়েছেন বিমানচালকরা। অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হওয়ার কারণে বিমানগুলির শরীর থেকেও তড়িৎ সঞ্চালিত হতে পারে। তবে তাদের গঠনগত পদ্ধতি এমনই যে সেই বাজ বিমানের ভিতরে প্রবেশ করে না। বিমানচালকরা ককপিটে বসে বাজের ভয়াল রূপ ও আলোর তীব্রতা অন্যদের চেয়ে বেশিই টের পান।

০৪ ১০

ঘূর্ণিঝড়: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যে বিমান পড়লে তা এয়ার পকেটে নেমে আসতে বাধ্য হয়। এই সময় বিমানের যাত্রীদের অনেকেই আশঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রবল ঘূর্ণির এমন ভয়াল রূপও অন্যদের থেকে বিমানচালকরাই বেশি ভাল দেখতে পান। ঝড়ের সময় আকাশের অবস্থা, বাতাসের ঘূর্ণন, এমনকি ঝড়ের উৎসস্থলের ভয়াবহতাও দেখতে পান তাঁরা।

০৫ ১০

সেন্ট এলমো’জ ফায়ার: এতেও বাজ পড়ার মতোই তীব্র আলোর মুখোমুখি হন বিমানচালকরা। উচ্চ তড়িৎশক্তিসম্পন্ন এলাকার মধ্যে বিমান নিয়ে প্রবেশ করলে যদি ঝড় ওঠে বা নীচে কোনও আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ঘটে, তা হলে আকাশের উচ্চ তড়িৎশক্তিসম্পন্ন এলাকাও উদ্দীপ্ত হয়। তখন একঝাঁক বিদ্যুতের তীব্র আলোর নাচানাচি দেখতে পান তাঁরা।

০৬ ১০

রামধনু: বিমানের সামনে রামধনু পড়বে এমনটা ভাবা অবৈজ্ঞানিক। কিন্তু বিমানচালকদের দাবি, বিমানের নীচে বা তার উড়ানপথের এক ধারে তৈরি হওয়া রামধনু প্রায়ই দেখতে পান তাঁরা। সাত রঙের আভাগুলোও অনেক সামনে থেকে টের পান তাঁরা।

০৭ ১০

সমকোণী হিমশৈল: নাসা-র বিমানচালকদের দাবি, উত্তর অতলান্তিক পেনিনসুলার দিকে উড়ে যাওয়ার সময় সম্প্রতি নিখুঁত সমকোণ সম্পন্ন চৌকো হিমশৈল দেখতে পান তাঁরা। আকাশ থেকে নীচের পৃথিবীর সাধারণ কিছু হিমশৈল দেখতে পাওয়া খুব আশ্চর্যের নয়। কিন্তুএমন জ্যামিতিক আকারের হিলশৈলর উপস্থিতি পৃথিবীতে খুবই বিরল বলেও জানান তাঁরা।

০৮ ১০

পিঙ্ক লেক: ককপিটে বসে গোলাপি রঙের হ্রদ দেখতে পাওয়া নিয়ে উত্তেজিত থাকেন বিমানচালকরাও। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হিলিয়ার হ্রদ বা ব্রিটিশ কলম্বিয়া, স্পেন ও কানাডায় এমন কিছু হ্রদ রয়েছে। উচ্চ লবণাক্ত জল ও শ্যাওলার কারণে এই ধরনের হ্রদগুলির রং গোলাপি হয়ে যায়। মাঝ আকাশের উচ্চতা পেরিয়ে এই রং বিমানচালকদের চোখে আরও গাঢ় হয়ে পৌঁছয়।

০৯ ১০

জিওগ্রিফ: ভূমিরূপের নানা পরিবর্তন ও হঠাৎ হঠাৎ বাঁকে মাটির গায়ে নানা মোটিফ তৈরি হয়। কোনওটা হয়ত আংটির আকারের, কোনওটা চৌকো বা কোনও জীবজন্তুর অবয়বের। সূক্ষ্ম এই কারুকাজগুলি আকাশপথ থেকেই সবচেয়ে ভাল বোঝা যায়। বিমানচালকরাও এমন জিওগ্রিফ প্রায়ই দেখতে পান।

১০ ১০

বেলুন ও ফানুস: মাঝ আকাশে ওড়ার সময় উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এমন বেলুন ও ফানুসের মুখোমুখি প্রায়ই হন বিমানচালকরা। তখন সে সবের থেকে পাশ কাটিয়ে সুরক্ষিত উপায়ে বিমানকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement