ICC ODI World Cup 2023 Final

রোহিতদের জন্য আজও আমাদের কোজাগরী

অনেকেই বলছেন, প্যাট কামিন্সের এ বারের দলের সঙ্গে স্টিভ ওয়া কিংবা রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার কোনও তুলনাই চলে না। সেই সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য ছিল প্রবল।

Advertisement

অমিতাভ সাধুখাঁ

মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) রোহিত শর্মা এবং প্যাট কামিন্স। —ফাইল চিত্র।

রাত পোহালেই বিশ্বকাপ ফাইনাল। বিশ্বকাপ জ্বরে হয়তো কাঁপছে গোটা ভারত। উন্মাদনা রয়েছে আমাদের প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যেও। তবে এ বার অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাস দেখছি না। স্থানীয়েরা মনে করছেন, ভারত অনেক ভাল দল। সেই দিক থেকে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ভারতই মূল দাবিদার। অনেকেই বলছেন, প্যাট কামিন্সের এ বারের দলের সঙ্গে স্টিভ ওয়া কিংবা রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার কোনও তুলনাই চলে না। সেই সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য ছিল প্রবল। ঠিক সেটাই যেন এ বার দেখা যাচ্ছে রোহিত শর্মার দলের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে পৌঁছনো যেন অনেকটা ভাগ্যের জোরে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে ৭০ শতাংশ অস্ট্রেলীয়ই মনে করছেন ফাইনালে ভারতই ফেভারিট।

Advertisement

আফগানিস্তান ম্যাচে তো সকলে ধরেই নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া হারছে। সাত উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অনবদ্য ইনিংস। কিন্তু সেমিফাইনালে আবার ম্যাক্সওয়েল সফল হতে পারেননি। আশা করি, ফাইনালেও শান্ত থাকবেন ম্যাক্সওয়েল।

ভারতে যেমন ফাইনালের আগে পুজোপাঠ, হইহল্লা শুরু হয়ে গিয়েছে এখানে কিন্তু তেমনটা দেখিনি। এমনিতে ক্রিকেট এখানকার প্রধান স্পোর্টস নয়। তবে ফেডারেশন স্কোয়্যারে গত কয়েকটা ম্যাচে জায়ান্ট স্ক্রিনের আয়োজন করা হয়েছিল। অনেকে মিলে একসঙ্গে খেলা দেখেছেন। ফাইনালেও নিশ্চয়ই সেই ব্যবস্থা থাকবে। এমনিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলের সময়েও এখানে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

আমি অবশ্য বাড়িতে একাই খেলা দেখব। আমি থাকি মেলবোর্নের ম্যাকিনানে। আমার বন্ধুদের বাড়ি অনেকটাই দূরে। তাই ওদের সঙ্গে বসে খেলা দেখা হবে না। তবে ওরা অনেকে এক জায়গায় জড়ো হয়েই খেলা দেখবে। আসলে স্থানীয় সময়ে সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ খেলা শুরু হয়। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে আগামিকাল অধিকাংশই রাত জাগবেন। লক্ষ্মীপুজোয় যেমন রাত জেগে থাকি, রোহিতদের জন্য এই দিনটাতেও যেন অনেকটা সে রকমই আবহ।

এমনিতে গ্রুপ পর্বের সময়ে অস্ট্রেলিয়ানরা মনে করছিলেন কামিন্সের দল বড়জোড় সেমিফাইনালে পৌঁছবে। স্থানীয়েরা মনে করেন, প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলির ক্যাচ না ফেললে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হত। যদিও আমার মনে হয়, এ রকম হতেই পারে। আমার অস্ট্রেলীয় বন্ধুদের মতে, ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে জিততে হলে ভারতকে খুব খারাপ খেলতে হবে। তা ছাড়া এই ব্লু ব্রিগেডকে হারানো সম্ভব নয়। আমি ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বকাপ দেখছি। ২০১১ সালের কাপজয়ী দলকে মাথায় রেখেই বলছি, এ রকম অপ্রতিরোধ্য ভারতীয় দল আগে দেখিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement