সাইবার হানার পর থেকে বিটকয়েন নামটা মানুষের কাছে যথেষ্ট পরিচিত। বাস্তবে বিটকয়েনের কোনও অস্তিত্ব না থাকলেওভার্চুয়াল দুনিয়ায় তার উপস্থিতি এই মুহূর্তে যথেষ্ট চর্চিত বিষয়। দিনের পর দিন বিটকয়েনের দামও বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ বছর আগে যদি আপনি ১ লক্ষ টাকার বিটকয়েন কিনতেন, তা হলে আজ আপনি প্রায় ৬ কোটি টাকার মালিক হতেন। এই মুহূর্তে যাঁদের হাতে বিটকয়েন আছে তাঁরানাম লিখিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম ধনীদের তালিকায়। সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম বিটকয়েন বিলিওনিয়র হলেন ক্যামেরন এবং টেলর উইঙ্কলিভস। কারা তাঁরা? একটু পিছিয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বের প্রথম বিটকয়েনের মালিকদের সম্পর্কে কিছু তথ্য।
ক্যামেরন এবং টেলর উইঙ্কলিভস। ২০১৩ সালে প্রথম বিটকয়েন কিনেছিলেন যমজ এই ভাই।
ক্যামেরন এবং টেলরের জন্ম ১৯৮১-র ২১ অগস্ট। ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত দুই ভাই-ই পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ওঁরা দাবি করেছিলেন, ফেসবুকের ‘কনসেপ্ট’ তাঁদের কাছ থেকে চুরি করেছেন মার্ক জুকেরবার্গ।
ক্যামেরন এবং টেলর দাবি করেছিলেন, ফেসবুকের মতোই একটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। সেই প্লাটফর্মের নাম ছিল ‘হার্ভার্ড কানেক্ট’।
পরিকল্পনা চুরির অভিযোগে মার্ক জুকেরবার্গের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকেছিলেন ক্যামেরনরা।
সেই মামলা থেকেই ২০০৮-এ ফেসবুকের তরফে সাড়ে ছয় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ হিসাবে পান তাঁরা।
২০১৩-য় তার মধ্যে ১ কোটি১০ লক্ষ ডলার খরচ করে ১ লক্ষ বিটকয়েন কিনেছিলেন তাঁরা। সেই সময় প্রতিটি বিটকয়েনের দাম ছিল ১২০ ডলার।যদিও সে সময়ে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের ধারণা ছিল, বিটকয়েনে বিনিয়োগ করার মতো বোকামির কাজ আর কিছু হয় না।
তবে সকলের ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন উইঙ্কলিভস ভ্রাতৃদ্বয়। এই মুহূর্তে প্রতি বিটকয়েনের দাম ১১ হাজার ৩৯৫ মার্কিন ডলার। ফলে এখন কয়েকশো কোটি টাকার মালিক এই দুই ভাই।এখনও পর্যন্ত একটাও বিটকয়েন বিক্রি করেননি তাঁরা।
তবে ২০১৪ সালে প্রথম বিটকয়েনের লভ্যাংশ বিক্রি করে রিচার্ড ব্যারেনসনের ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’-এ আসন বুক করেছেন তাঁরা। এটাই বিশ্বের প্রথম কমার্শিয়াল স্পেসলাইন।
বিটকয়েনের সৃষ্টিকর্তা সাতোশি নাকামতোর পর এঁরাই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিটকয়েনের মালিক।