—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুরা মিলে বিমানে ওঠার আগে নিজেদের স্ন্যাপচ্যাট গ্রুপে আদিত্য বর্মা মজা করে লিখেছিলেন, ‘প্লেন উড়িয়ে দিতে চললাম। তালিবানের লোক আমি।’ লন্ডন থেকে উড়ে গিয়ে যখন স্পেনের বিমানবন্দরে নামলেন, যুদ্ধবিমান নিয়ে তাঁদের অপেক্ষা করা হচ্ছিল। তার মধ্যে একটি অবতরণ পর্যন্ত পিছুপিছু ছিল। ২০২২ সালের জুলাইয়ের সেই ‘মশকরা’র মাসুল দেড় বছর পরে দিচ্ছেন ওই ব্রিটিশ ভারতীয় তরুণ। কিছু দিন আগেই স্পেনের মাদ্রিদের ন্যাশনাল কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে চলা ‘মানুষের ভোগান্তি’ বাধানোর মামলার শুনানি ছিল।
এই মামলার কেন্দ্রীয় একটি প্রশ্ন হল, নিজেদের মধ্যে স্ন্যাপচ্যাটে বলা কথা বাইরে বেরোল কী করে। বিমানবন্দরের ওয়াই-ফাই থেকে সুরক্ষা-পরিকাঠামোয় সেটি ধরা পড়ার একটি তত্ত্ব শুনানিতে উঠে এসেছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের কাছে ব্রিটিশ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সেটা সম্ভব নয়। পর্যবেক্ষণে ‘অজ্ঞাত কারণে’র উল্লেখ করে বিচারপতিরা বলেছেন, ফরাসি আকাশসীমায় বিমানটি থাকাকালীন ওই বার্তা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের গোচরে আসে। তাঁরা বলেছেন, “শুধুমাত্র অভিযুক্ত ও তাঁর সহযাত্রী বন্ধুরাই প্রবেশ করতে পারেন, এমন প্রাইভেট গ্রুপের কঠোর ভাবে ব্যক্তিগত পরিবেশে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, তাঁর কোনও রকমের আন্দাজই ছিল না... বন্ধুদের সঙ্গে করা মজা ব্রিটিশ নিরাপত্তা পরিকাঠামোর মতো কোনও তৃতীয় পক্ষের হাতে ধরা পড়বে বা আটকে যাবে।” অবশ্য বিচারপতিরা জানিয়েছেন যে, এই মামলায় ব্রিটিশ সরকারের বিচার হচ্ছে না। স্ন্যাপচ্যাটের এক মুখপাত্র ‘এই বিচ্ছিন্ন ঘটনায় কী হয়েছে, সে ব্যাপারে মন্তব্য’ করতে অস্বীকার করেছেন।
স্পেনে নেমে গ্রেফতার হয়ে দু’দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন সেই সময় বছর ১৮-র আদিত্য। পরে জামিন পান। আদালত জানিয়েছে, তাঁর সঙ্গে কোনও বিস্ফোরক ছিল না, যাতে ওই হুমকি সত্যি বলে মনে হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়ার সাড়ে ২২ হাজার ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ২৩ লক্ষ টাকার বেশি) পর্যন্ত এবং সেই সঙ্গে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর ক্ষতিপূরণ বাবদ আরও ৯৫ হাজার ইউরো (ভারতীয়
টাকায় এক কোটির বেশি) জরিমানা হতে পারে।