Pakistan Economy Crisis

পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫ দশকে সর্বোচ্চ

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম ক্রমাগত বেড়েছে। এর ফলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:০৯
Share:

গত মার্চে পাকিস্তানে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছেছে ৩৫.৩৭ শতাংশে। যা গত পাঁচ দশকে সর্বাধিক। প্রতীকী ছবি।

গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের আর্থিক দশা শোচনীয়। সম্প্রতি সরকারি গণবণ্টন কেন্দ্র থেকে আটা বিতরণের সময়ে পদপিষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবরেও আর্থিক দুরবস্থার ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল। এ বার সরকারি পরিসংখ্যানও সেই অবস্থাকেই তুলে ধরেছে। গত মার্চে পাকিস্তানে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছেছে ৩৫.৩৭ শতাংশে। যা গত পাঁচ দশকে সর্বাধিক। গত মাসের সাপেক্ষে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৭২ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা গড়ে ২৭.২৬ শতাংশ।

Advertisement

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম ক্রমাগত বেড়েছে। এর ফলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষদের। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, রমজান মাসে খাদ্যদ্রব্য বণ্টন স্থলে খাবার নেওয়ার জন্য উপচেপড়ছে ভিড়।

মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফে সুদের হার বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যক খাদ্যদ্রব্যের উপরে আমদানি শুল্ক হ্রাসের মতো নানা পদক্ষেপ করা হলেও তার প্রভাব খুবই সীমিত।

Advertisement

দেনার দায়ে গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে ক্রমশ কমেছে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ) সাহায্য পাওয়ার জন্য তাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ায় কোপ পড়েছে জনমোহিনী প্রকল্পে। আর্থিক নীতির প্রভাবে প্রায় ২০ হাজার নাগরিকের কাজ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, যন্ত্রাংশ জুড়ে মোবাইল ফোন তৈরির ৩০টি সংস্থা ইতিমধ্যেই কারখানা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে।

সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে তারা। বহু সংস্থা কর্মীদের এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতন দেওয়ার পরে কাজ স্থগিত রেখেছে। কর্মীদের বলা হয়েছে, কারখানা খোলা হলে ফের কাজে যোগ দিতে পারবেন কর্মীরা। তবে কারখানা কবে খুলবে, সেই উত্তর নেই কারও কাছে।মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির দাবি, পূর্ণ মাত্রায় কাজ হলে প্রতি মাসে ১৭ কোটি ডলারের যন্ত্রাংশ আমদানির প্রয়োজন। দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাড়ার বাড়ন্ত থাকায় আমদানি তথা ডলার খরচের উপরে রাশ চাপিয়েছে সরকার। তার জেরেই আপাতত বন্ধ হয়েছে কারখানা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement