Earthquake in Turkey and Syria

আলেপ্পোয় ভারতের বাহিনী, মৃত্যু বেড়ে ৪১ হাজার ছাড়াল

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪০ সদস্যকে সিরিয়ার আলেপ্পোয় পাঠানো হল। রেশন, জামাকাপড়, চিকিৎসা সামগ্রী-সহ ত্রাণের নানা জিনিস বিপর্যয়স্থলে পৌঁছে দেবেন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আঙ্কারা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫২
Share:

ত্রাণ নিয়ে আলেপ্পো পৌঁছেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ দল। বুধবার। ছবি: পিটিআই।

ভারতের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিল সিরিয়া। তাতেই সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অংশ হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪০ সদস্যকে সিরিয়ার আলেপ্পোয় পাঠানো হল। রেশন, জামাকাপড়, চিকিৎসা সামগ্রী-সহ ত্রাণের নানা জিনিস বিপর্যয়স্থলে পৌঁছে দেবেন তাঁরা। এ ছাড়াও, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৮০ জন কর্মী ত্রাণের জিনিস এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য নিযুক্ত রয়েছেন ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত অঞ্চলে।

Advertisement

বিপর্যয়ের পরে আজ দশম দিনে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়াল। শুধু তুরস্কেই ৩৫ হাজারের বেশি মৃত্যু। সিরিয়ায় ছ’হাজারের কাছাকাছি। আজও ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েক জনকে। তুরস্কের কাহরামানমারাসে ২২২ ঘণ্টা পরে জীবিত মিলেছে এক ৪২ বছর বয়সি মহিলাকে। সাধারণ মানুষও বলছেন, তুরস্কের ইতিহাসে এত বড় বিপর্যয় ঘটেনি কখনও। যাঁরা বেঁচে আছেন, প্রায় সকলেরই চেনা পরিচিত বহু মানুষ আর নেই। আডিয়ামান শহরের বাসিন্দা রেসুল সেরদার বলেন, ‘‘কত কাছের মানুষ আর নেই। কত সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি এক সঙ্গে। আর ওঁদের সঙ্গে গল্প করতে পারব না, দেখা হবে না, কিছুই ভাবতে পারছি না।’’ এমন আক্ষেপ প্রায় সকলেরই মুখে। অনেকে শোক পালন করার মতো অবস্থাতেও নেই। খোলা আকাশের নীচে আধভাঙা সংসার নিয়ে জীবন-যুদ্ধ এতটাই কঠিন হয়ে পড়েছে!

তুরস্ক সরকার জানিয়েছে, তাদের দেশে ৫০,৫৭৬টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে অথবা ভয়ানক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত বাড়ি ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করতে হবে। ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত প্রতিটি অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন প্রশাসনের কর্তারা। ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার বাড়ির অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে। যে সব বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলি আদৌ বাসযোগ্য কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। গাজ়িয়ানটেপের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই শহরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাড়ি ভেঙে ফেলতে হবে। কমপক্ষে ১২ হাজার। হাটায়ে ১০,৯১১টি বাড়ি বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। কাহরামানমারাসে ১০,৭৭৭টি বাড়ি ভেঙে ফেলতে হবে।

Advertisement

সিরিয়ায় এ সব হিসেব দূরের কথা। প্রাথমিক ধাক্কাই তারা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অভিযোগ, ত্রাণ সে ভাবে পাচ্ছে না তারা। দক্ষিণ তুরস্কের বাব আল-হাওয়া সীমান্ত দিয়ে একের পর এক ট্রাক ঢুকছে সিরিয়ার ইদলিবে। কিন্তু তার বেশির ভাগই মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কে যে সব সিরীয়ের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের দেহ পাঠানো হচ্ছে, যাতে মাতৃভূমিতে দেহ কবর দেওয়া যায়। এ ভাবে বুধবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ১৪১৩ জন সিরীয়ের দেহ বডি-ব্যাগে করেদেশে ফিরেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement