—প্রতীকী চিত্র।
আটত্রিশ মিনিটের একটি ফোনালাপ। জার্মানির বায়ুসেনার সদস্যদের মধ্যে কথোপকথনের সেই অডিয়ো সম্প্রতি ফাঁস করে দিয়েছেন এক রুশ সংবাদ চ্যানেলের সম্পাদক। ওই অডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের
যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীকে সাহায্যে করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। এই তথ্য সামনে আসার পরেই পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির দিকে ফের আঙুল তুলছে মস্কো। গোটা ঘটনায় বিব্রত জার্মান সরকার।
জার্মান বায়ুসেনা সদস্যদের ওই ফোনালাপ ‘ওয়েবেক্স’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মে প্রথমে ফাঁস হয়। রাশিয়ার গোয়েন্দারা ওই অডিয়ো হ্যাক করেন এবং পরে তা টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশ্যে আনেন রুশ চ্যানেলের ওই সম্পাদক। তবে ওই কথোপকথন যে তাদেরই বায়ুসেনা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে হয়েছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছে জার্মান সরকার। ওই বার্তায় এক বায়ুসেনা অফিসারকে বলতে শোনা গিয়েছে, রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ রক্ষাকারী কার্চ সেতুকে যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী নিশানা করেছিল, তখন ইউক্রেনকে ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সাহায্য করেছিলেন ব্রিটিশ সেনারা। জার্মান বায়ুসেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনগো গেরহার্ৎজ় তাঁরই এক সহকর্মীর সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সামরিক কৌশল নিয়ে ফোনে আলোচনা করছিলেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, কী ভাবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে ইউক্রেনের বাহিনীকে সাহায্য করে আসছে। ফ্রান্সের সেনাবাহিনী যে প্রত্যক্ষ
ভাবে যুদ্ধে কিভকে সাহায্য করছে না, সে কথাও সহকর্মীকে ফোনে বলেন ওই অফিসার। ব্রিটিশ সরকার বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, এই কথোপকথন থেকেই স্পষ্ট যে কী ভাবে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি একজোট হয়ে তাদের পরাস্ত করার চেষ্টা করছে।