প্রতীকী ছবি
গত সাত দশকের বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। এ বার করোনা পরিস্থিতি ও আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জনপ্রিয়তা দ্রুত কমতে শুরু করায় ফের পাক প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে শুরু করেছে সেনা। করোনা মোকাবিলার বিষয়টি হোক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সিদ্ধান্ত, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্তরা সেনা আধিকারিকদের।
ইসলামাবাদে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের বক্তব্য জানাতে সামনে আসছেন সেনা আধিকারিকেরা। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম সেলিম বাজওয়া
বর্তমানে ইমরান খানের জনসংযোগ উপদেষ্টা। চিনের মহাসড়ক প্রকল্পের কাজকর্মও দেখেন তিনি। কম খরচে বাড়ি বানানোর প্রকল্প হোক, বিদ্যুৎ বা বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা, প্রায় এক ডজন সেনা অফিসার এখন ইসলামাবাদে প্রশাসনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অতিমারির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর দায়িত্বেও এক সেনা আধিকারিক। অনেকেই মনে করছেন, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সেনা আধিকারিকদের বসিয়ে সরকারি নীতি নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের ভূমিকাকে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইমরান প্রশাসনের উপর সেনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সামনে আসে মার্চে। করোনা পরিস্থিতি তখন সঙ্কটজনক হতে শুরু করেছে। নাগরিকদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তাদের শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন ইমরান। দেখা গেল, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পর দিনই লকডাউন ঘোষণা করলেন সেনার মুখপাত্র। অতিমারির বিষয়ে সরকারি তথ্যও দিয়ে চলেছে তারা। সম্প্রতি করাচিতে বিমান দুর্ঘটনার পরে ইমরান যুক্তি দেন, ‘‘সেনা আধিকারিকদের প্রশাসনে নিয়োগ করাটা কোনও অপরাধ নয়।’’
এই পরিস্থিতিতেই আজ ইমরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আদালতে মানহানির মামলার শুনানি ১৭ জুন পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ এই মামলা করেছেন।