Thailand

ভাইরাস রুখতে ‘ককটেল’ ইঞ্জেকশন তাইল্যান্ডের

দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হয়ে রবিবার সংবাদিক বৈঠক করেন চিকিৎসা পদ্ধতিটির সঙ্গে যুক্ত এক ডাক্তার, ক্রিয়েংসাক আট্টিপর্নওয়ানিচ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ব্যাঙ্কক শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৫
Share:

ছবি: রয়টার্স।

জ্বর আর এইচআইভি। এই দুই রোগের অ্যান্টি-ভাইরাসের ‘ককটেল’। তাতেই নোভেল করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কেল্লাফতে হয়েছে বলে দাবি করলেন তাইল্যান্ড।

Advertisement

দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হয়ে রবিবার সংবাদিক বৈঠক করেন চিকিৎসা পদ্ধতিটির সঙ্গে যুক্ত এক ডাক্তার, ক্রিয়েংসাক আট্টিপর্নওয়ানিচ। তিনি জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। ‘ককটেল ইঞ্জেকশনটি’ তাঁর শরীরে প্রয়োগ করার পরেই নাটকীয় ভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। ৪৮ ঘণ্টা পরে ফের তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। তখন রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে। ক্রিয়েংসাক আরও জানান, ওই ইঞ্জেকশন প্রয়োগের আগে প্রায় শয্যাশায়ী ছিলেন বৃদ্ধা। উঠে বসতে পারছিলেন না। কিন্তু ১২ ঘণ্টা পরে দেখা যায় তিনি উঠে বসেছেন।

আরও পড়ুন: এই প্রথম নয়, নতুন নতুন রূপে ফিরে আসে আতঙ্কের করোনাভাইরাস

Advertisement

মারণ-ভাইরাসটির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন সম্পর্কে কোনও রাখঢাক করেনি তাইল্যান্ড। তারা জানিয়েছে, ফ্লু-র চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ‘ওসেলটামিভির’। এইচআইভি-র চিকিৎসায় দেওয়া হয় ‘লোপিনাভির’ ও ‘রিটোনাভির’। এই দুই রোগের ওষুধ মিশিয়ে বৃদ্ধাকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। ওষুধটি কতটা ‘সফল’, তা নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। রিপোর্টের অপেক্ষায় উদগ্রীব সকলে।

গত কাল ফিলিপিন্সে মারা যান ৪৪ বছর বয়সি এক চিনা যুবক। তিনি উহান থেকে ফিলিপিন্সে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিনের বাইরে এই প্রথম কোনও মৃত্যু হয়। তার পরেই ‘সুখবর’ দিয়েছে তাইল্যান্ড। এতে আশার আলো দেখছে গোটা বিশ্ব।

তাইল্যান্ডে ১৯ জন ভাইরাস-আক্রান্ত। চিনের বাইরে এই সংখ্যাটা সব চেয়ে বেশি জাপানে, ২০ জন। তার পরেই তাইল্যান্ড। তাদের আট রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ১১ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement