ইউরোর মাঝে আইএস আতঙ্ক। দুনিয়াজুড়ে এর প্রভাব যে কতটা বিস্তৃত হয়েছে, তার প্রমাণ দিয়ে গেল আইফেল টাওয়ার ফ্যান জোনের জার্মানি-ইতালি ম্যাচ। খেলা তখন সবে মাঝপথে। হঠাৎই দেখা যায়, হাজার-হাজার লোক প্রাণভয়ে ছুটছে। কী ঘটেছে বোঝার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে একে অন্যের উপর হুমড়ি খেয়ে এসে পড়ছে। তার উপর ঝাঁকে ঝাঁকে ফরাসি পুলিশের ফ্যান জোনের মাঝামাঝি দৌড়ে যাওয়া আতঙ্কের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে কেন ও ররকম হুড়োহুড়ি তা এখনও পরিষ্কার নয়। আইফেল টাওয়ার চত্বরে গণ্ডগোলও নতুন হচ্ছে না। এর আগে ইংল্যান্ড বনাম ওয়েলস ম্যাচের দিন ইংরেজ সমর্থকরা গণ্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা করলে ফরাসি পুলিশকে তাঁদের বেধড়ক মারতে দেখা যায়। শনিবারও প্রথমে কেউ কেউ ভেবেছিলেন যে, ও রকমই কিছু একটা হয়েছে। জার্মানি-ইতালির টেনশনের ম্যাচ নিয়ে বোধহয় ঝামেলা লেগেছে দু’দেশের সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু পরে শোনা গেল, একটা পটকা নাকি ফাটানো হয়েছিল। যে শব্দ শুনে লোকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভেবে যে, আইএস হানা দিয়েছে বুঝি। গত নভেম্বরে রক্তের প্যারিসে নারকীয় আক্রমণের স্মৃতি এখনও ফরাসি মননে টাটকা। এবং গত রাতের আতঙ্কের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, লোকজনকে পদপিষ্ট করে চলে যাওয়া নিয়েও কেউ দু’বার ভাবেনি।