ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানের একটি গুরুদ্বার থেকে ‘নিশান সাহিব’ নামিয়ে নিয়েছিল তালিবান। ভারতের তীব্র সমালোচনার পরে গতকাল রাতে তালিবান প্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের সেই ধর্মীয় পতাকা ফের স্থাপিত করেছে বলে খবর।
গতকাল জানা গিয়েছিল, পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের চমকানির গুরুদ্বারে গিয়ে সেখানকার কেয়ারটেকারকে প্রথমে চোটপাট করে কয়েক জন তালিব। এই গুরুদ্বারে এসেছিলেন স্বয়ং গুরু নানক। শিখদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এই ধর্মস্থানের ‘নিশান সাহিব’ জোরজবরদস্তি নামিয়ে গুরুদ্বারের পাশে একটি গাছে বেঁধে দেয় তারা। তালিবান দলের প্রত্যেকের সঙ্গেই অস্ত্রশস্ত্র ছিল বলে তাদের সঙ্গে কোনও বাক্-বিতণ্ডায় যাননি বলে পরে জানিয়েছিলেন কেয়ারটেকার।
গতকালই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছিল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘‘আফগানিস্তানে শান্তি বজায় রাখতে সে দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখা জরুরি।’’ তার পরেই আজ জানা গিয়েছে, কাল রাতে ফের ওই গুরুদ্বারে আসে এক তালিবান প্রতিনিধিদল। গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কাথাবার্তা বলে তারা। তার পরে গুরুদ্বারের কেয়ারটেকারকে ডেকে নির্দেশ দেয়, ‘নিশান সাহিব’ যথাস্থানে রেখে আসতে। যাওয়ার আগে তারা আরও বলে যায়— এলাকার শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের ধর্মীয় রীতি মেনে এই গুরুদ্বারে আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। তালিবান তাতে কোনও বাধা দেবে না। তালিবানের এই ‘ভোলবদল’ দেখে কূটনীতিকেরা বলছেন, ক্ষমতায় আসতে মরিয়া তালিবানের একটি অংশ আন্তর্জাতিক মহলকে একদমই চটাতে চায় না। গুরুদ্বার-প্রসঙ্গে তাদের এই অবস্থান থেকেই সেটাই স্পষ্ট।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অবশ্য ক্রমশ খারাপই হচ্ছে। আজ ব্রিটেন আফগানিস্তানে বসবাসকারী সে দেশের নাগরিকদের নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, তাঁরা যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে দেশ ছেড়ে চলে আসেন।