US Military

সেনা সরালেই বাড়বে তালিবান, সতর্কতা 

কিন্তু সেখানেই বিপদ দেখছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২১ ০৫:৩০
Share:

ফাইল চিত্র।

আফগানিস্তানে দু’পক্ষের মধ্যে যথাযথ ভাবে ক্ষমতা বিনিময় হওয়ার আগেই আমেরিকার সেনাবাহিনী সে দেশ ত্যাগ করলে, তার পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর। পরবর্তী দু’তিন বছরের মধ্যে ফের দেশটির সিংহ ভাগ এলাকার দখল চলে যেতে পারে তালিবানের হাতে। সে ক্ষেত্রে ফের সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠবে আল কায়দা। একটি সংবাদপত্রের দাবি, এই মর্মেই প্রশাসনকে সতর্ক করেছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
আফগানিস্তানে এখন আমেরিকার সাড়ে তিন হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তালিবানের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চুক্তি হয়েছিল, সেই সেনা সরিয়ে নেবে আমেরিকা। এ বছর পয়লা মে সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন হিসেবে ধার্য রয়েছে। কিন্তু সেখানেই বিপদ দেখছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সংবাদমাধ্যমের দাবি, গোয়েন্দা সূত্রকে গুরুত্ব দিচ্ছেন আমেরিকার প্রশাসনের অনেকেই। তাঁরা চান, নির্ধারিত সময়ের পরেও আফগানিস্তানে থাকুক সেনাবাহিনী। যদিও এ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি হোয়াইট হাউস। বৃহস্পতিবারই বাইডেন মেনে নিয়েছেন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আমেরিকার সাড়ে তিন হাজার সেনাকে আফগানিস্তান থেকে সরানো কঠিন। তা ছাড়া আমেরিকার মিত্রদেশগুলির তরফেও ৭ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে আফগানিস্তানে। আবার একই সঙ্গে বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি চান না আগামী বছরও আফগানিস্তানে আমেরিকার সেনা থাকুক। ঘটনা হল, তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার শান্তি আলোচনার মধ্যেই একাধিক বার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে। বিদেশি দূতাবাস থেকে সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষও রেহাই পাননি। এই হামলাগুলির পিছনে তালিবানের হাত আছে বলে জানিয়েছে সব গোয়েন্দা সংস্থাই। আমেরিকা নিজেও বুঝতে পারছে, তারা সরে গেলেই আফগানিস্তানের দখল নিতে সক্রিয় হবে তালিবান। সে দেশের নির্বাচিত সরকারের যা অবস্থা, তাতে তাদের পক্ষে একক ভাবে তালিবানকে ঠেকানো কার্যত অসম্ভব বলেই মত গোয়েন্দাদের। তালিবানও হুঁশিয়ারির সুরেই জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পরেও দেশে বিদেশি সেনা থাকলে তারা হামলা চালাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement