গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সরকার গঠনের আগে খুব সতর্ক পদক্ষেপ করতে চাইছে তালিবান। ফের ১৯৯০-এর পুনরাবৃত্তি তারা চায় না। তারা চাইছে না ফের গৃহযুদ্ধে জর্জরিত হোক আফগানিস্তান। সেই পরিস্থিতি এড়াতেই আফগানিস্তানের প্রভাবশালী নেতাদের পাশে পেতে মরিয়া তালিবান। তারা চাইছে উজবেক, তাজিক এবং হাজারা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা স্থায়ী সরকার গড়ে উঠুক।
সরকার গঠনে তালিবান যে সব নেতাকে পাশে পেতে চায়, তাঁরা হলেন গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, হামিদ কারজাই, আবদুল্লা আবদুল্লা, আব্দুল রশিদ দোস্তুম, আমরুল্লা সালেহ্, আহমদ মাসুদ, আতা মহম্মদ নুর এবং মহম্মদ করিম খলিলি। স্থায়ী সরকার গড়তে এই ৮ নেতাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছে তালিবান। আর সে কারণেই এঁদের সঙ্গে ইতিমধ্য এই আলোচনা শুরু করেছে তারা।
গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার: আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। হিজব-এ-ইসলামি দলের প্রভাবশালী নেতা। এবং আফগান রাজনীতির অন্যতম হোতা। আমেরিকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গির তালিকায় ছিলেন তিনি।
হামিদ কারজাই: আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। এক সময় যে তালিবান তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল, এখন তাঁদের সঙ্গেই আলোচনার টেবিলে হামিদ।
আবদুল্লা আবদুল্লা: নর্দান অ্যালায়েন্স-এর প্রধান আহমদ শাহ মাসুদের উপদেষ্টা ছিলেন। পেশায় চিকিৎসক এবং এক জন রাজনীতিকও বটে। এক সময় তালিবান এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাজিক গোষ্ঠীর নেতা আবদুল্লা এখন তালিবানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আব্দুল রশিদ দোস্তুম: উজবেক নেতা এবং আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত নর্দান অ্যালায়েন্সের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ-সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আমরুল্লা সালেহ: আশরফ গনি সরকারের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। গোয়েন্দা প্রধানও ছিলেন। এখন তিনি তালিবানের হাত থেকে পঞ্জশির উপত্যকা রক্ষা করছেন।
আহমদ মাসুদ: নর্দার্ন অ্যালায়েন্স-এর প্রধান এবং তাজিক মুজাহিদিন কমান্ডার আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে। আমরুল্লা সালেহ্-র সঙ্গে জোট বেঁধে পঞ্জশির উপত্যকায় তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন।
আতা মহম্মদ নুর: প্রভাবশালী তাজিক নেতা। আফগানিস্তানের বলখ প্রদেশের গভর্নর ছিলেন। গনি সরকারের আমলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মহম্মদ করিম খলিলি: আফাগনিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। হাজারা সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা।