হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা।
হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদাকেই তাঁদের নেতা হিসেবে মান্যতা দিল তালিবান। তাঁর নেতৃত্বেই সরকার চলবে আফগানিস্তানে। আফগানিস্তানের সংবাদ সংস্থা টোলো নিউজ দাবি করেছে, দ্রুত সরকার ঘোষণা করতে চলেছে তালিবান। সরকারের মাথায় থাকতে চলেছেন আখুন্দজাদা। তাঁর অধীনে থাকবেন এক জন প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট। খুব শীঘ্রই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের নাম ঘোষণা করতে পারে তালিবান। এমনই দাবি করেছে টোলো নিউজ।
তালিবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য আনামুল্লা সামানগনিকে উদ্ধৃত করে টোলো নিউজ দাবি করেছে, আফগানিস্তানের নতুন সরকারের প্রধান হতে চলেছেন আখুন্দজাদা। সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
দু’সপ্তাহেরও বেশি তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছে। এই সময়ের মধ্যেই সে দেশে নানা বিষয়ে পরিবর্তন এনেছে। বেড়েছে নিষেধাজ্ঞার বাড়াবাড়ি। ১৯৯৬-এ তালিবানি শাসনে নৃশংসতার সাক্ষী ছিল গোটা আফগানিস্তান। কিন্তু এ বার নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান ২.০। আফগানিদের মধ্যে তালিবান সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে বার বার। কিন্তু তাতেও যেন ভরসা পাচ্ছেন না আফগানিরা। কেননা, তাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে, তালিবানের কথায়-কাজে বিস্তর ফারাক। আফগানিদের একাংশের মতে, তালিবান যতই নিজেদের স্বচ্ছ এবং পরিবর্তিত তালিবান বলে তুলে ধরার চেষ্টা করুক না কেন, তাঁদের ভিতরের নৃশংস সত্তাটা যে বেরিয়ে আসবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই অনেকেই দেশ ছেড়ে পালানোর রাস্তা নিয়েছেন। অনেকে আবার মরিয়া হয়ে উঠেছেন পালানোর জন্য।