taliban

Afghanistan: আমেরিকা বিশ্বাসঘাতক! অকেজো হেলিকপ্টার, বিমান, গাড়ির সারি দেখে ক্রুদ্ধ তালিবান

আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, হেলিকপ্টারের তালিকায় সিএইচ-৪৬ (চিনুক), এমডি-৫৩০এফ এমনকি, লাদেন-নিধন অভিযানে ব্যবহৃত ব্ল্যাক হকও রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৪০
Share:

কাবুল বিমানবন্দরে তালিবান বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।

তালিবানের বেঁধে দেওয়া চরম সময়সীমা মেনেই আফগানিস্তান ছেড়েছে আমেরিকার সেনা। কিন্তু কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার আগে অচল করে দিয়ে গিয়েছে সেখানে রাখা সামরিক বিমান, হেলিকপ্টার এমনকি, সামরিক যানবাহনের বড় অংশকে। শেষ বেলায় পেন্টাগনের এমন আচরণে ক্রদ্ধ তালিবান নেতৃত্ব। তাঁদের মতে আমেরিকার এমন আচরণ বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। সংবাদমাধ্যমের সামনে এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

আমেরিকা সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি বুধবার জানান, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ার আগে সেখানে রাখা ৭৩টি কপ্টার এবং বিমানকে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সেগুলি আর ওড়ার অবস্থায় নেই।

Advertisement

আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই তালিকায় ভারি পরিবহণ হেলিকপ্টার সিএইচ-৪৬ (চিনুক), হাল্কা কপ্টার এমডি-৫৩০এফ এমনকি, অ্যাবোটাবাদে লাদেন-নিধন অভিযানে ব্যবহৃত ব্ল্যাক হকও রয়েছে। রয়েছে, সন্ত্রাস দমন অভিযানে ব্যবহৃত এ-২৯ সুপার টুকানো এবং সেসনা-২০৮ বিমান।

বিমানবন্দর চত্বরে রাখা ছিল ২৭টি অস্ত্রবাহী হাম্‌ভি গাড়ি। কাবুল ছাড়ার আগেো সেগুলিও নষ্ট করে গিয়েছেন মেজর জেনারেল ক্রিস্টোফার ডোনাহু এবং তাঁর সঙ্গীরা। সোমবার মধ্যরাতে তাঁরা কাবুল বিমানবন্দর ছাড়ার সময় আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তালিবান বাহিনী। শূন্যে গুলি ছুড়ে মেতেছিল উল্লাসে। কিন্তু দু’দিনের মধ্যেই সেই উল্লাস হতাশায় পরিণত হয়েছে।

Advertisement

তালিবানের হাতে এখন ৪৮টি বিমান ও কপ্টার রয়েছে বলে পশ্চিম এশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে কতগুলি ওড়ার অবস্থায় রয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আপাতত কাবুল বিমানবন্দরে পরিষ্কার এবং মেরামতির কাজ চলছে। সাধারণ নাগরিকদের ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement