ফাইল ছবি
চিনের পরে তালিবানের পাশে দাঁড়াল পাকিস্তানও। সোমবার তালিবানের উত্থান নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বললেন, ‘‘এতদিন পরে দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে ফেললেন আফগান মানুষেরা।’’ রবিবার কাবুল দখলের পরই স্পষ্ট হতে থাকে আফগান সরকারকে পরাস্ত করে দেশে ক্ষমতা দখল করবে তালিবান। তখনই তালিবানের সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের যোগসূত্রের কথা চর্চায় উঠে আসে। সেই প্রেক্ষিতে ইমরানের বক্তব্য যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সোমবর ইমরানের বক্তব্যের মূল কথা এসব নিয়ে ছিল না। তিনি ইংরাজি মাধ্যমে পড়াশোনার বিষয়ে একটি বক্তব্যের মধ্যেই টানেন আফগানিস্তান প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই অন্য সংস্কৃতির আদবকায়দা আয়ত্ত করে মজা পান। কিন্তু মনে রাখবেন, অন্যের সংস্কৃতি ঘাড়ের উপর চাপিয়ে দেওয়াটা দাসত্বের সমান। আসল দাস হয়ে বেঁচে থাকার থেকেও এ আরও কষ্টের। এই শিকল ভেঙে ফেলা দরকার। আফগানিস্তানে সেই কাজটাই সফল ভাবে পালিত হচ্ছে।’’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তালিবানকে এত দিন রসদ, অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে চিন ও পাকিস্তান। কয়েকদিন আগেই তালিবানের প্রতিনিধিরা দেখা করে এসেছেন চিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে। দোহা-র আলোচনায় তালিবান নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর ছবিও ভাইরাল হয়েছে। এই দুই দেশের সঙ্গে তালিবানের যোগ কার্যত মজবুত হয়েছে দিনের পর দিন। ইমরানের বক্তব্যের পরে সেই ছবিটাই আরও স্পষ্ট হল। তালিবান প্রশাসনকে কার্যত মেনেই নিল পাকিস্তান।