১২ জনকে খেলার মাঠে সকলের সামনে চাবুক মারা হয়েছে বলে দাবি। ছবি টুইটার।
ফুটবল স্টেডিয়ামে লোকে লোকারণ্য। তবে খেলা দেখার জন্য এত ভিড় হয়নি। সকলের সামনে মাঠে ১২ জনকে শাস্তি দেওয়া হল। সেই দৃশ্য দেখতে স্টেডিয়ামে ভিড় জমালেন অগণিত মানুষ। সকলের সামনে ওই ১২ জনকে চাবুক মারা হল। যাঁদের মধ্যে ছিলেন তিন মহিলাও। এমন বর্বরোচিত দৃশ্য ধরা পড়েছে আফগানিস্তানে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ব্যভিচার, ডাকাতি ও সমকামিতার অপরাধের শাস্তি হিসাবে আফগানিস্তানের লোগোর প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে ওই ১২ জনকে সকলের সামনে চাবুক মারা হয়েছে। ‘নৈতিক অপরাধে’র শাস্তি হিসাবে চাবুক মারার নিদান দেয় তালিবান। শরিয়ত আইন মেনেই ওই ১২ জনের প্রত্যেককে ২১ থেকে ৩৯ বার চাবুক মারা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনার হাত ধরে তালিবানি শাসনে আফগানিস্তানের অন্ধকার দিকটি আরও এক বার প্রকাশ্যে এল।
বিবিসিকে তালিবানের মুখপাত্র ওমর মনসুর মুজাহিদ জানিয়েছেন, শাস্তিভোগ করার পর ওই তিন মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওই ১২ জন আদতে ঠিক কী ‘অপরাধ’ করেছিলেন, তা বিশদে জানানো হয়নি তালিবানের তরফে। চলতি মাসে এমন শাস্তি দেওয়ার নিদর্শন এ নিয়ে দ্বিতীয় বার দেখল আফগানিস্তান। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই শিউরে উঠেছেন সে দেশের নাগরিকরা।
২০২১ সালের ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা আবার দখল করে তালিবান। তালিবানের হাতে সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই সে দেশে মহিলাদের জন্য একাধিক ফতোয়া জারি করা হয়। মহিলাদের জন্য হিজাব ও বোরখা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশে উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের স্কুলও বন্ধ করে করেছে সরকার। এর পর মহিলাদের জিম ও পার্কে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।