ফাইল ছবি।
রবিবার থেকেই ধরপাকড় শুরু হয়ে গেল আফগানভূমে। সমাজজীবনে মহিলাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছিল আগেই, এ বার সংবাদ পাঠিকাদের মুখ ঢেকে খবর পড়ার ফরমানের বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লাগল তালিবান। রবিবার থেকেই আফগানিস্তানের সংবাদ চ্যানেলে সংবাদ পাঠিকাদের মুখ ঢেকে সংবাদ পরিবেশন করতে দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার তালিবান ঘোষণা করে, সংবাদ পাঠিকাদের মুখ ঢেকেই খবর পড়তে হবে। কিন্তু প্রথম দু’দিন বেশির ভাগ নিউজ চ্যানেলই ফরমান মানেনি। খোলা মুখেই সংবাদ পাঠ করতে দেখা গিয়েছিল মহিলা সংবাদ উপস্থাপকদের। কিন্তু রবিবার থেকে কড়াকড়ি শুরু হল কাবুলে। তালিবান সরকারের তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক ঘোষণা করে, এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, নড়চড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আফগানিস্তানের টোলো নিউজের অন্যতম সংবাদ পাঠিকা সনিয়া নিয়াজি প্রকাশ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণ বহিরাগত এক সংস্কৃতি আমদানি করা হচ্ছে। জবরদস্তি আমাদের মাস্ক পরানোর সিদ্ধান্তের ফলে আমাদের খবর পড়তে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।’’
সে দেশের স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ফরমান জারি হলেও, প্রাথমিক ভাবে তাকে গুরুত্ব দিতে চায়নি কাবুলের সংবাদমাধ্যম। কিন্তু রবিবার থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। আমাদের কঠোর ভাবে নিয়ম মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালিবানের প্রথম দফার শাসনে মহিলাদের অধিকারে ভয়ঙ্কর ভাবে কোপ পড়েছিল। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর তালিবান দাবি করেছিল, মহিলাদের ঘরের চৌহদ্দিতে আটকে দেওয়া তাদের অভিপ্রায় নয়। কিন্তু সম্প্রতি তালিবান ঘোষণা করে, প্রকাশ্যে বেরোতে হলে মহিলাদের সারা শরীর ঢেকে রাখতে হবে। এক মাত্র দৃশ্যমান থাকবে তাঁদের চোখ। সেই তালিকায় এ বার জুড়ে গেল মহিলা সংবাদ পাঠিকাদের মুখ ঢাকার নয়া ফতোয়া।