কাবুলে পৌঁছলেন তালিবান নেতা বরাদর। ছবি: সংগৃহীত।
দোহায় আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শেষে কাতার বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে কন্দহরে ফিরেছিলেন মঙ্গলবার রাতে। সোমবার রাজধানী কাবুলে পৌঁছলেন তালিবান নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বরাদর। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নয়া তালিবান নেতৃত্বাধীন সরকারের নেতৃত্বে তাঁকে দেখা যেতে পারে বলে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।
তবে বরাদর আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন কি না, তা নিয়ে এখনও কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। আফগান সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, তালিবান প্রধান হায়বাতুল্লা আখুন্দজাদা যদি প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেন তাঁর ‘ডেপুটি’ হতে পারেন বরাদর। কাবুলে বরাদরকে স্বাগত জানাতে হাজির এক তালিবান কমান্ডার বলেন, ‘‘পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতেই বরাদর রাজধানীতে এসেছেন।’’
অন্য একটি সূত্রের দাবি, সরাসরি সরকারি পদে না বসে ইরানের আয়াতুল্লা খামেইনির মতো ‘সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু’র আসনে বসে সংবিধান বহির্ভূত ক্ষমতা উৎস হতে পারেন আখুন্দজাদা। তা ছাড়া সরকার শুধুমাত্র তালিবান প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া হবে না কি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা আবদুল্লার মতো মধ্যস্থতাকারীরা ক্ষমতার ভাগ পাবেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রসঙ্গত, তালিবান কাবুল দখল করলেও এখনও প্রকাশ্যে আসেননি আখুন্দজাদা।
তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ‘ডান হাত’ ছিলেন বরাদর। ওমরের উত্তরসূরি হিসেবেও তাঁর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচিতে গ্রেফতারও হন বরাদর। ২০১৫-য় আমেরিকার বিমানহানায় ওমরের মৃত্যুর পর তালিবানের নেতা হন আখতার মনসুর। ২০১৬ সালে মনসুরও ড্রোন হামলায় মারা যান। তালিবানের নেতা হন আখুন্দজাদা।
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়ার পর ফের তালিবান সংগঠনে যোগ দেন বরাদর। দলের প্রথম চার নেতার তালিকাতেও স্থান পান। আফগান সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুবের সঙ্গে বরাদরের সমীকরণ অত্যন্ত মসৃণ। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সংগঠনের আর এক শীর্ষনেতা সিরাজুদ্দিন হক্কানির নানা প্রশ্নে মতভেদ রয়েছে। কট্টর ভারত-বিরোধী হক্কানি নেটওয়ার্ককেই কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছেন তালিবান প্রধান আখুন্দজাদা।