মাসুদ আত্মসমর্পন করতে পারেন বলেও দাবি করেছিল তালিবান। ফাইল চিত্র।
সময়ের আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছিল আমেরিকা। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আফগানিস্তানের একমাত্র বিরোধী ঘাঁটি পঞ্জশিরে হামলা চালাল তালিবান। সোমবার রাতে ওই হামলায় দু’পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সংঘর্ষে ৭-৮ জন তালিবান যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তালিব-বিরোধী নেতা আহমেদ মাসুদের মুখপাত্র ফাহিম দাষ্টি।
তালিবান আফগানিস্তানের দখল নিলেও পঞ্জশিরকে কব্জা করতে পারেনি। নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা মাসুদের যোদ্ধারাই রক্ষা করে চলেছে পঞ্জশির। যদিও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা একটি খবরে দাবি করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক সাহায্য এবং রসদের অভাবে মাসুদ বাহিনী ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এমনকি তালিবদের হাতে মাসুদ আত্মসমর্পন করতে পারেন বলেও দাবি করা হয় ওই খবরে। মাসুদ শিবির অবশ্য এই বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করেনি। সোমবার রাতে তালিবানের উপর মাসুদ বাহিনীর পাল্টা হামলাতেও স্পষ্ট, এখনও হাল ছাড়েননি তাঁরা।
সোমবার তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ দাবি করেছিলেন, ‘‘পঞ্জশিরের দখল নেওয়া এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তালিব যোদ্ধারা এলাকাটি ঘিরে ফেলেছেন। শীঘ্রই পঞ্জশির তাঁদের কব্জায় আসবে।’’ ফাহিম অবশ্য বলেছিলেন, ‘‘তাঁরা শুধু পঞ্জশিরের জন্য নয় সমগ্র আফগানদের জন্যই এই লড়াই করছেন। তালিবদের হাত থেকে আফগানিস্তানকে বাঁচানোই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য।’’