তালিবানের শীর্ষ নেতা। ছবি: রয়টার্স।
কাদের অঙ্গুলিহেলনে তালিবান নেটওয়ার্ক চলছে, কয়েক দশক ধরে সেই ছবিটা অন্তরালেই ছিল। দু’এক জন শীর্ষ নেতা ছাড়া বাকিদের নাম কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ফলে তাঁদের সংগঠনের শক্তি আমেরিকার মতো গোয়েন্দা-শক্তিধর দেশও ঠিক মতো বুঝে উঠতে পারেনি। কিন্তু আফগানিস্তান দখল করতেই হিমশৈলের লুকিয়ে থাকা অংশের মতো তাদের সংগঠনের সেই কাঠামোটা এ বার ভাসিয়ে দিল তালিবরা। অন্তরালে থেকে কাজ করা বহু তালিবান নেতাই এ বার প্রকাশ্যে এলেন। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে আফগানিস্তানের পারিচালন ক্ষমতা থাকবে সেই সাত নেতার হাতেই।
তালিবান সংগঠনের সেই ‘সপ্তরথী’:
হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা: বর্তমানে আফগান তালিবানের প্রধান নেতা। ২০১৬-তে আমেরিকার ড্রোন হামলায় তাঁর পূর্বসূরির মৃত্যুর পর সংগঠনের তৃতীয় প্রধান হিসেবে উঠে আসেন। সর্বদাই প্রচারবিমুখ এই নেতা আড়াল থেকে সংগঠন সামলাতেন। তালিবানের শীর্ষস্তরে উঠে আসার পরই তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু তার পর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি।
আব্দুল গনি বরাদর: তালিবানের প্রধান মুখ। প্রচারে থাকতে ভালবাসেন। ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১০-এ পাকিস্তানের করাচিতে আমেরিকা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন। ২০১৮-তে ছাড়া পান। বর্তমানে তালিবানের দোহার রাজনৈতিক কার্যালয়ের দায়িত্ব সামলান।
মহম্মদ ইয়াকুব: তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে। তালিবানের উত্তরসূরির প্রধান দাবিদার ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানে পড়াশোনা তাঁর। এখন আফগানিস্তানেই থাকেন। হক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্গে ভাল যোগাযোগ।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আব্দুল হাকিম ইশাকজাই: আখুন্দজাদার খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তালিবানের মধ্যে। তালিবানের প্রধান সমঝোতাকারীর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই: ঝরঝরে ইংরাজি বলেন। ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর ডেপুটি বিদেশমন্ত্রীর পদে ছিলেন। আফগান সরকারের সঙ্গে হক্কানি গোষ্ঠীর সমঝোতাকারী হিসেবে কাজ করতেন।
মোল্লা ইব্রাহিম সদর: ২০১৬-তে তালিবান বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান। তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তালিবান বাহিনীর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।