ফাইল চিত্র।
গাওস্কর, না তেন্ডুলকর?
দুরূহ কম্পিউটার কোডিং যাঁর কাছে জল-ভাত, প্রশ্নকর্তার এই গুগলিতে ঈষৎ চাপে পড়ে গেলেন তিনি। তার পরেই অবশ্য ডজ করে বললেন, ‘‘দু’জনেই!’’
সোমবার ব্রিটিশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ রকমই অন্য মেজাজে পাওয়া গেল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইকে। গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে-ফাঁকে ছিল হাল্কা মেজাজের কথোপকথনও। পিচাইয়ের জন্ম চেন্নাইয়ে। তামিলনাড়ুর স্কুলেই পড়াশোনা, আইআইটি খড়্গপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ। এখন আমেরিকার নাগরিক হলেও তাঁর অন্তরে ভারতের স্থান অনেকখানি, জানালেন সাক্ষাৎকারে। বললেন, ‘‘আমার পরিচয়ের অনেকটাই জুড়ে রয়েছে আমার ভারতীয় সত্তা।’’
তামিল বংশোদ্ভূত পিচাইয়ের সব থেকে প্রিয় খাবার— দোসা। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী নাকি, জওহরলাল নেহরু, কার আদর্শে বিশ্বাস রাখেন, এই প্রশ্নের উত্তরে বেছে নিলেন ‘গাঁধীজি’কেই। সাহিত্যপ্রেমী পিচাই আরও জানালেন, উইলিয়াম শেক্সপিয়র নন, ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স-ই তাঁর প্রিয়তম সাহিত্যিক।
তথ্য-প্রযুক্তির দুনিয়ায় অনায়াস বিচরণ যাঁর, তিনি-ই কিঞ্চিৎ প্যাঁচে পড়ে গেলেন ক্রিকেটের জগতে ঢুকে। প্রিয় ক্রিকেটার কে, এই প্রশ্নের উত্তরে কালবিলম্ব না করে বলেছিলেন— সচিন তেন্ডুলকর। কিন্তু প্রশ্নকর্তা অত সহজ়ে ছাড়ার পাত্র নন। ফের জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘ঠিক বলছেন? সুনীল গাওস্কর নন?’’
থমকে গেলেন পিচাই। ১৯৭২-এ জন্ম তাঁর। ছেলেবেলার অনেকটাই জুড়ে ছিল গাওস্করের অনবদ্য সব ইনিংস, একের পর এক রেকর্ড।
‘‘খুব মুশকিলে ফেলে দিলেন,’’ প্রশ্নকর্তাকে মুচকি হেসে বলেন পিচাই। তার পরে বলেই ফেললেন— ‘‘নাহ, এঁদের মধ্যে কোনও এক জনকে বেছে নেওয়া অসম্ভব। দু’জনেই আমার সমান প্রিয়!’’