Omicron

Omicron: ত্বকে কত ক্ষণ বাঁচতে পারে ওমিক্রন? কেনই বা অন্য রূপগুলির তুলনায় দ্রুত ছড়াচ্ছে!

ওমিক্রন, আলফা, বিটা এবং ডেল্টা রূপ করোনার প্রাথমিক রূপের তুলনায় ত্বক এবং প্লাস্টিকের উপরিভাগে প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৫২
Share:

ওমিক্রন ত্বকে ২১ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। ফাইল চিত্র ।

শরীরের ত্বকে ২১ ঘন্টা অবধি বেঁচে থাকতে পারে করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন। একই সঙ্গে প্লাস্টিকের উপরেও বেঁচে থাকতে পারে আট দিন পর্যন্ত। আর এই কারণেই, করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে সময় নিচ্ছে না। এক জন থেকে আর এক জনে, দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল এক সমীক্ষায়। সমীক্ষায় আরও লক্ষ করা গেছে যে ওমিক্রন, আলফা, বিটা এবং ডেল্টা রূপ করোনার প্রাথমিক রূপের তুলনায় ত্বক এবং প্লাস্টিকের উপরিভাগে প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে।

Advertisement

সমীক্ষা অনুযায়ী, কোভিডের প্রাথমিক রূপ প্লাস্টিকের উপর ৫৬ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু কোভিডের আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টা রূপের প্লাস্টিকের উপর গড় আয়ু যথাক্রমে, ১৯১.৩ ঘন্টা, ১৫৬.৬ ঘন্টা, ৫৯.৩ ঘন্টা এবং ১১৪ ঘন্টা। তবে, ওমিক্রন রূপের প্লাস্টিকের উপর গড় আয়ু সর্বোচ্চ, ১৯৩.৫ ঘন্টা।

ত্বকের ক্ষেত্রেও, ভাইরাসের মূল রূপের বেঁচে থাকার গড় সময় ৮.৬ ঘন্টা। তবে করোনার আলফা রূপ ১৯.৬ ঘন্টা, বিটা রূপ ১৯.১ ঘন্টা, গামা রূপ ১১ ঘন্টা, ডেল্টা রূপ ১৬.৮ ঘন্টা এবং ওমিক্রন ২১.১ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

Advertisement

সম্প্রতি জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনের গবেষকরা উহানে উদ্ভূত সার্স-কোভ-২ ভাইরাস এবং এর রূপগুলির মধ্যে পরিবেশগত স্থিতিশীলতার পার্থক্য বিশ্লেষণ করেছেন।

এই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশে করোনার রূপগুলির উচ্চ সহনশীলতার কারণেই এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আর তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে বলেও এই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সমীক্ষায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, করোনার সমস্ত রূপগুলির মধ্যে ওমিক্রনের পরিবেশগত সহনশীলতা সর্বোচ্চ। তাই এই নয়া রূপ অন্য রূপগুলির তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য ওমিক্রন, ডেল্টা রূপকেও দ্রুত প্রতিস্থাপন করতে পারে বলেও সমীক্ষায় বলা হয়েছে।

নেটমাধ্যমের একটি আর্কাইভ বায়োস্কিভ-এ সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement