ছবি সংগৃহীত।
অন্তত দু’লক্ষ বছর আগে বিবর্তন ঘটে উত্তর বৎসোয়ানায় আধুনিক মানুষের জন্ম হয়েছিল। সোমবার এই দাবি করলেন এক দল গবেষক। গবেষণাপত্রটি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
আধুনিক মানুষের ‘আদিপুরুষের বাসভূমি’ ঠিক কোথায় ছিল, এত দিন তা এতটা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে মনে করা হত, দৈহিক গঠন অনুযায়ী (অ্যানাটমিকালি) আধুনিক মানুষের (হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্স) উদ্ভাবন ঘটেছিল আফ্রিকায়। কিন্তু আমাদের প্রজাতির নির্দিষ্ট ‘জন্মস্থান’ অজানাই ছিল। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণে কালাহারি মরুভূমির দেশ বৎসোয়ানা। বিভিন্ন দেশের ঘেরা ‘ল্যান্ডলকড’ দেশ এটি। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই হল আমাদের আদিপুরুষের জন্মভূমি।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার আদি বাসিন্দা ২০০ খোশিয়ান গোষ্ঠীর মানুষের ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এদের দেহে প্রচুর মাত্রায় ‘এল০’ ডিএনএ রয়েছে। এর পরে ডিএনএ পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখেন বিজ্ঞানীরা, যেমন ভৌগোলিক অবস্থান, প্রত্নতাত্ত্বিক বদল, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এ ভাবে একটি জিনগত ‘টাইমলাইন’ মেলে। দেখা যায়, ওই ‘এল০’ ডিএনএ-টি দু’লক্ষ বছর আগেও আফ্রিকার দক্ষিণে বৎসোয়ানায় জাম্বেজি নদী তীরবর্তী এলাকায় ছিল।
এই গবেষণার অন্যতম হোতা ‘গ্যারভান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সিডনি’র অধ্যাপিকা ভেনেসা হেজ় জানান, এলাকাটির নাম ‘ম্যাকগাডিকগাডি-ওকাভ্যাঙ্গো’। এক সময়ে এখানে একটি বড় হ্রদ ছিল। আকারে ‘লেক ভিক্টোরিয়া’র দ্বিগুণ। তবে জায়গাটি এখন একেবারে মরুভূমি। দু’লক্ষ বছর আগে কোনও এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হ্রদটি জলাভূমিতে পরিণত হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, এখানেই আধুনিক মানুষ বসবাস শুরু করেন।