Bangladesh Crisis

সরকারহীন বাংলাদেশের ২৪ ঘণ্টা পার, পুলিশশূন্য ঢাকার রাজপথে বুধেও দায়িত্ব পালন পড়ুয়াদের

ঢাকা শহরের একাধিক থানায় সোমবার অগ্নিসংযোগ হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত পুলিশকর্মীরাও। মঙ্গলবার ঢাকার রাস্তায় পুলিশের দেখা মেলেনি। বুধেও সেই একই ছবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৪২
Share:

বুধবার ঢাকার রাস্তায় আবর্জনা পরিষ্কার করছেন পড়ুয়ারা। ছবি: পিটিআই।

মঙ্গলবারের মতো বুধবারও ঢাকার রাস্তায় সেই অর্থে দেখা মেলেনি পুলিশকর্মীদের। আজও ঢাকার রাজপথে ট্র্যাফিক সামলানো ও শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার থেকেই কার্ফু উঠে গিয়েছে। বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল বুধে আরও বেড়েছে। রাস্তায় দেখা মিলেছে বাসেরও। কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য দেখা মেলেনি কোনও ট্র্যাফিক পুলিশের। এগিয়ে এসেছেন পড়ুয়ারাই। কেউ ট্র্যাফিক সামলালেন। কেউ পলিথিনের থলি হাতে আবর্জনা সাফ করলেন, কেউ ঝাঁটা হাতে শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করলেন। বুধবার যত সময় গড়াল, তত এমন ছবি উঠে এল ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

Advertisement

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ার পর প্রায় ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চলল ভেঙে গিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদও। অন্তর্বর্তী সরকার এখনও গঠিত হয়নি। কার্যত সরকারহীন একটি রাষ্ট্র চলছে। গত কয়েক দিনে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যে ভাবে থানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চলেছে, তাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পুলিশকর্মীদের একাংশও। উর্দিধারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা-সহ মোট ন’দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশকর্মীদের একটি সংগঠন।

গত কয়েক দিনের আন্দোলন ঘিরে হিংসা এবং তা দমাতে পুলিশি প্রতিক্রিয়া ও হাসিনার দেশত্যাগের পর জনতার উল্লাসে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঢাকা-সহ পদ্মাপারের একাধিক শহরে। যদিও হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বার বার দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন আইনশৃঙ্খলা না ভাঙার জন্য। কোথাও যাতে লুটপাট না চলে, সেই নিয়েও বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। এ সবের মধ্যেই এ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তা, ইসিবি চত্বরে রাস্তাঘাট আবর্জনামুক্ত করতে ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেল পড়ুয়াদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement