ছবি: শাটারস্টক
ফ্রান্সের লিয়ঁ থেকে রেনেস যাওয়ার জন্য উড়েছিল বিমান। আচমকাই ক্যাপ্টেন ঘোষণা করলেন, আবার লিয়ঁতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিমানটিকে। কারণ, বিমানে বোমা রয়েছে।
এর পর বিমানটি ফিরে আসে এয়ারপোর্টে। তল্লাশি করে কোনও বোমা পাওয়া যায়নি। তদন্তে যা উঠে আসে, তাতে নড়েচড়ে বসেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, বছর তেইশের এক তরুণ তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন না বলেই বিমানে বোমা আছে বলে ফোন করেন। ওই আতঙ্কে যাতে বিমান বাতিল হয়, সেই চেষ্টাতেই ফোনটা করেন তিনি।
তদন্তকারীদের আরও দাবি, ব্যস্ততার কারণে ছোটবেলায় একদমই সন্তানকে সময় দিতে পারেননি ওই দম্পতি। পড়াশোনার জন্য তাকে বাড়ি থেকে দূরের হস্টেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে সন্তানের৷ সেই দূরত্ব এতটাই বেড়ে যায় যে, একটা সময়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করর ইচ্ছেটাই চলে যায়।
গত ১৮ জানুয়ারি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে লিয়ঁ থেকে রেনেস যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। ছেলে সে কথা জানতে পেরে বাবা-মা যাতে না আসেন, সেই চেষ্টা করতে থাকেন। তার পরেই বিমান ছাড়ার ঠিক পর মুহূর্তেই তিনি লিয়ঁ বিমানবন্দরে ফোন করে বিমানে বোমা আছে বলে জানান।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফট থেকে ইন্টারভিউয়ের ডাক, এক মাস আগেই হাজির যুবতী!
ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশ খোঁজ পায় বছর তেইশের ওই তরুণের৷ ভুয়ো ফোন করে হয়রানির কারণে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে৷ বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর পাঁচ বছরের জেল এবং আর্থিক জরিমানা হতে পারে বলে খবর৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, জেরায় সে জানিয়েছে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে না চেয়েই বিমান বাতিলের জন্য বোমাতঙ্কের গুজব ছড়িয়েছিল সে।
আরও পড়ুন: পিছু হঠলেন ট্রাম্প, ৩৫ দিন পর শাটডাউন উঠল আমেরিকায়