Weight Loss Tips

ভালমন্দ খাবারের সঙ্গে আপস করে নয়, জিমে গিয়েও নয়, ওজন ঝরাতে কোন পথ বেছে নিলেন নেহা?

সম্প্রতি আবার নতুন করে ডায়েট শুরু করেছেন নেহা ধুপিয়া। সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রী ভাগ করে নিয়েছেন, কী ভাবে ওজন ঝরানোর কথা ভেবেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১২
Share:

ওজন ঝরাতে কোন পথে হাঁটছেন নেহা? ছবি: সংগৃহীত।

দুই সন্তানের জন্মের পর অনেকটাই ওজন বেড়ে গিয়েছিল অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার। আর সন্তানধারণের সময় নেহার যে ওজন বেড়েছিল, তা কমাতে খানিক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। গত এক বছরে প্রায় ২৩ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফিট হয়েছেন নেহা। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পরেই ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দেন তিনি। নেহা বলেন, ‘‘আমি আমার দু’সন্তানকেই স্তন্যপান করাতাম। সেই কারণে আমার শরীর সব সময় দুর্বল লাগত আর সারা ক্ষণ খিদে পেত। গত এক বছর ধরে আমি ঠিক মতো ডায়েট মেনে চলা শুরু করি ও শরীরচর্চা করি। মোট ২৩ কেজি ওজন কমেছে আমার। তবে এখনও যতটা ওজন ঝরাতে চাই, তা পারিনি। তবে আশা করছি, ভবিষ্যতে পারব।’’

Advertisement

সম্প্রতি আবার নতুন করে ডায়েট শুরু করেছেন নেহা। সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রী ভাগ করে নিয়েছেন, কী ভাবে ওজন ঝরানোর কথা ভেবেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে নেহা জানিয়েছেন, ওজন ঝরাতে গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট শুরু করেছেন তিনি। এই ডায়েট সম্পর্কে অনুরাগীরা কী মনে করেন, তা জানতে ইনস্টাগ্রামেই একটি সওয়াল-জবাব করেছেন। সেখানে তিনি জানতে চেয়েছেন, তাঁর অনুরাগীরা কি আদৌ এই ডায়েট করেন কিংবা এই ডায়েট করার কথা ভাবছেন?

গ্লুটেন কী?

Advertisement

এটি এক ধরনের প্রোটি্ন, যা মূলত গম, রাই, বার্লি ইত্যাদি শস্যে থাকে। এক ধরনের আঠালো পদার্থ থাকে এই সব শস্যে, যা এ থেকে তৈরি খাবার বেক করার সময় ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে। মূলত রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপ‌্‌স, সস, বিয়ার— এই সব খাবারে গ্লুটেন থাকে।

গ্লুটেন-মুক্ত খাবারের তালিকায় কী কী রয়েছে?

গ্লুটেন মুক্ত খাবারের তালিকায় রয়েছে তাজা ফল, সব্জি, ডিম, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত দ্রব্য।

গ্লুটেন আছে, এমন খাবার কারা খেতে পারেন?

গ্লুটেন যুক্ত খাবার প্রায় সকলেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু, বিশেষ কিছু সমস্যা থাকলে গ্লুটে-মুক্ত খাবারই খেতে হবে।

সিলিয়াক রোগ: এই রোগ যাঁদের আছে, গ্লুটেন যুক্ত খাবার খেলে তাঁদের ক্ষুদ্রান্ত্রের আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে খাবার থেকে পুষ্টি সংগ্রহ ব্যাহত হয়। সিলিয়াক রোগ এক ধরনের অটোইমিউন ঘটিত অসুস্থতা।

গ্লুটেন সংবেদনশীলতা: সিলিয়াক রোগ না থাকলেও অনেকেরই গ্লুটেন নিয়ে সংবেদনশীলতা থাকে। এমনকি, তা থেকে সিলিয়াক রোগের উপসর্গও দেখা যেতে পারে। পেটের তলদেশে ব্যথা, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, চুলকানি, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। ক্ষুদ্রান্ত্রের কোনও ক্ষতি না হলেও এই উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের গ্লুটেন মুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

গ্লুটেন অ্যাটাক্সিয়া: এটিও এক ধরনের অটোইমিউন ঘটিত অসুস্থতা। এই অসুখ বেশ কিছু স্নায়ুর তন্তুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে পেশির নড়াচড়া করার শক্তি ব্যাহত হয়।

হুইট অ্যালার্জি: অনেকের আটাতে অ্যালার্জি হয়। আটায় এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যাকে শরীর ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া ভেবে ভুল করে। সুতরাং তার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে শরীর অ্যান্টিবডি তৈরি করে। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।

অনেকেই এখন গ্লুটেন-মুক্ত খাবার খেতেই পছন্দ করছেন। এই ডায়েট মেনে চললে শরীরে শক্তি বাড়ে, পেটফাঁপার সমস্যা দূর হয়, গাঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখেই নয়, পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েই যে কোনও ডায়েট শুরু করা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement