ভূমিকম্প অনুভূত হয় স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩৬-এ। কম্পনের উৎসস্থল ফুকুশিমা সৈকতের কাছেই সমুদ্রের নীচে, মাটির ৬০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৩।
ফাইল চিত্র।
জোরদার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল টোকিয়ো-সহ উত্তর-পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জারি হয়েছে সুনামি-সতর্কতা। এখনও পর্যন্ত সে রকম ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না-গেলেও জানা গিয়েছে, বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা। ২২ লক্ষেরও বেশি বা়ড়ি বিদ্যুৎহীন।
ভূমিকম্প অনুভূত হয় স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩৬-এ। কম্পনের উৎসস্থল ফুকুশিমা সৈকতের কাছেই সমুদ্রের নীচে, মাটির ৬০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৩। কম্পনের পরেই এক মিটার উঁচু সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
ভূমিকম্পের পরেই টোকিয়ো ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, অন্ধকারে ঢাকা টোকিয়ো শহর। অন্তত সাত লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। টোকিয়োর বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা টেপকো জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আগামী কাল সকালের মধ্যে তা সম্ভব হবে কি না, স্পষ্ট নয়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সেনাকে কাজে লাগানো হবে। বায়ুসেনা মুখপাত্র জানান, হিয়াকুরি বিমানঘাঁটি থেকে বেশ কয়েকটি কপ্টার ইতিমধ্যেই ফুকুশিমা চলে গিয়েছে।
এত বড় ভূমিকম্পের পরে উত্তর-পূর্ব জাপানের মিয়াগিতে ওনাগাওয়া পরমাণু কেন্দ্রে কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, সেই আশঙ্কা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। তবে পরমাণু কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষে জানিয়েছেন, সেখানে কোনও ক্ষতি হয়নি।