Queen Elizabeth II

ব্রিটিশ রাজতন্ত্র লোপের জোরালো দাবি বহু দেশে

রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের প্রয়াণের পরেই প্রথামাফিক তাঁর পুত্র চার্লসের নাম ঘোষিত হয়েছে রাজা হিসাবে। তবে কমনওয়েলথ দেশগুলিতে রাজা তৃতীয় চার্লসের কর্তৃত্ব শুরুতেই প্রশ্নের মুখে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:২২
Share:

রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ ফাইল ছবি

রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের প্রয়াণের পরেই প্রথামাফিক তাঁর পুত্র চার্লসের নাম ঘোষিত হয়েছে রাজা হিসাবে। তবে কমনওয়েলথ দেশগুলিতে রাজা তৃতীয় চার্লসের কর্তৃত্ব শুরুতেই প্রশ্নের মুখে। একবিংশ শতকে রাজপরিবারের আর বিশ্ব জুড়ে প্রাসঙ্গিকতা আছে কি না, এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এখনও কমনওয়েলথভুক্ত এই ১৪টি দেশে রাষ্ট্রপ্রধান ব্রিটেনের রাজা— অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, বালিজ়, কানাডা, গ্রেনাডা, অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, সেন্ট লুসিয়া, টুভালু, সলোমন আইল্যান্ডস, গ্রেনেডিনস, দ্য বাহামাস, নিউজ়িল্যান্ড, জামাইকা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। এর মধ্যে অনেক দেশে বিদেশি রাজার শাসন নিয়ে আপত্তি উঠেছে।

Advertisement

গত বছর এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বার্বাডোস প্রজাতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথকে। একই ভাবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ড, কানাডা, জামাইকাতেও সুর জোরালো করেছেন রিপাবলিকানরা। তাঁদের দাবি, সাংবিধানিক রীতি অনুসরণ করে অবিলম্বে রাজতন্ত্রের অবসান হোক।

গত শুক্রবার জামাইকার এক সংবাদপত্রে রাজতন্ত্র প্রথা বিলোপের পক্ষে জোরালো সওয়াল করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে এ নিয়ে এক ভোটে দেখা গিয়েছে, অর্ধেকেরও বেশি জামাইকান রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে ব্রিটেনের রাজা বা রানিকে চায় না।

Advertisement

রানির মৃত্যুতে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ দিনের জন্য পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করা হলেও প্রজাতন্ত্র সংক্রান্ত বিতর্ক ফের শুরু হবে বলে খবর। এ বছর জুনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়ি এ বিষয়ে পদক্ষেপও করেছেন। নিউজ়িল্যান্ডেও এ বার প্রজাতন্ত্রের দাবি গতি পেতে পারে।

অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন জানিয়েছেন, তিন বছরের মধ্যে দেশকে প্রজাতন্ত্রে পরিণত করার জন্য গণভোট হবে। বালিজ় ইতিমধ্যেই সংবিধান পুনর্বিবেচনার ঘোষণা করেছে। ফিজি-র এক শীর্ষ নেতাও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভানুয়াটুর নাগরিকেরাও ব্রিটিশ রাজপরিবারের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement