এ বার নিশানা উত্তর কোরিয়া।
সিরিয়াকে ‘শিক্ষা’ দিয়ে এ বার কিম জং উনের ক্লাস নিতে চললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিঙ্গাপুর থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল ইউএসএস কার্ল ভিনসনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন নৌবহরের। পেন্টাগন সূত্রের খবর, স্ট্রাইক গ্রুপটি কালই যাত্রাপথ বদলে রওনা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার একটি উপদ্বীপের দিকে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মার্কিন নৌসেনা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কিম প্রশাসনের বেপরোয়া পরমাণু কর্মসূচি রুখতেই এই কড়া পদক্ষেপ।
এমনটা যে হতে পারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রেসি়ডেন্ট। চিন সাহায্য না করলে কিম প্রশাসনকে একাই দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ-ও বলেছিলেন, ‘‘বেজিং যদি না পিয়ংইয়ংয়ের উপর চাপ বাড়ায়, তবে বুঝতে হবে ওদের সদিচ্ছা নেই। তাই যা করার আমাদের করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: মিশরে জোড়া গির্জায় হামলা, নিহত ৪৩
কিন্তু সেই পদক্ষেপ যে এত তড়িঘ়ড়ি, আন্দাজ করা যায়নি। পিয়ংইয়ংয়ের ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মোকাবিলায় চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে তিন দিনের যৌথ মহড়া সেরেছে মার্কিন নৌসেনা। দক্ষিণ চিন, জাপান কিংবা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন নৌসেনার টহলদারিও প্রায় রুটিন। কিন্তু আগাম কর্মসূচি ঘোষণা না করেই স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠানোর ঘটনা বিরলতম বলেই দাবি কূটনীতিকদের। স্ট্রাইক গ্রুপটিতে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও দু’টি গাইডেড মিসাইল-ডেস্ট্রয়ার রয়েছে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় কম্যান্ডের দাবি, ‘‘পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে নিজেদের উপস্থিতি এবং প্রস্তুতির কথা জানান দিতেই স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠানো হয়েছে।’’
ট্রাম্পের হুমকিতে কান না দিয়ে গত বুধবারই জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল পিয়ংইয়ং। ট্রাম্প তাই স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠাতেই পারদ চড়তে শুরু করেছে এশিয়ার ওই অঞ্চলে।