বড় নেতার সঙ্গে নিজস্বী তুলছেন তালিব যোদ্ধারা ছবি রয়টার্স
গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখল হওয়ার পর থেকেই রাজধানী শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তালিব যোদ্ধারা। কখনও শহরের জিমে ঢুকে কসরত করতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের, আবার কখনও বাচ্চাদের খেলার মাঠে দোলনা চড়তে। কোথাও বড় তালিবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে সেলফি তুলতেও দেখা গিয়েছে তালিব যোদ্ধাদের। তাদের এই ধরনের ‘শিশুসুলভ’ আচরণ প্রকাশ্যে আসায় বেশ ক্ষুব্ধ তালিবান নেতৃত্ব। এ বার ওই তৃণমূল স্তরের যোদ্ধদের উদ্দেশে নেতৃত্বের স্পষ্ট নির্দেশ, ‘‘ভদ্রসভ্য হয়ে উঠুন। ইসলামি রীতি-নীতি মেনে নিজেদের আচরণে পরিবর্তন আনুন। আর যেখানে সেখানে সেলফি তোলা বন্ধ করুন। এতে বিপদ বাড়ছে।’’
তালিব যোদ্ধাদের অধিকাংশই আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা। হয়তো অনেকে এই প্রথম বার কাবুলে পা রেখেছেন। শহুরে জীবনযাপন হয়তো এই প্রথম স্বচক্ষে দেখছেন তাঁরা। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ করা ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কখনও চিড়িয়াখানায়, কখনও হ্রদের ধারে চড়ুইভাতিতে মশগুল তালিব যোদ্ধারা। কেউ দাড়ি ছেঁটে ফেলেছেন, কারও চোখে সানগ্লাস। পরনে রঙবেরঙের পোশাক।
এই সব দেখেই সম্প্রতি নয়া তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা তালিবান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মহম্মদ ইয়াকুব তালিব যোদ্ধাদের উদ্দেশে একটি অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বহু শহিদের রক্ত ঝরার পর আজ এই সাম্রাজ্য তৈরি হয়েছে। আপনারা তালিবানের নাম খারাপ করছেন। যা কাজ দেওয়া হয়েছে, শুধু সেটাই করুন।’’
নিজস্বী তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে নিজস্বী তুলে তা নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় বিপদ বাড়ছে। ওই নেতা কখনও কোথায় যান, কী করেন— সব প্রকাশ্যে চলে আসছে। এতে ওই নেতার প্রাণসংশয়ও হতে পারে। সুতরাং, এই সব করা থেকে বিরত থাকুন।’’