বসনিয়ায় গ্রেফতার শিল্পপতি প্রমোদ মিত্তল। ছবি: টুইটার
চরম অর্থ সঙ্কট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন কিছুদিন আগে। কিন্তু, মোটা অঙ্কের আর্থিক প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এ বার বসনিয়ায় গ্রেফতার হলেন শিল্পপতি প্রমোদ মিত্তল। সম্পর্কে তিনি আর্সেলর-মিত্তলের সিইও লক্ষ্মী মিত্তলের ছোট ভাই। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রমোদের সংস্থার আরও দুই কর্মীকেও।
গত ২০০৩ সাল থেকে বসনিয়ার লুক্যাভ্যাক শহরে প্রমোদ মিত্তলের সহযোগিতায় একটি কোকিং প্ল্যান্ট চলছে। ওই প্ল্যান্টে এক হাজার কর্মী কাজ করেন। ওই প্ল্যান্ট ঘিরে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রমোদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাজিম সেরহাটলিক নামে এক আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েই গিকিল নামে সংস্থার সুপারভাইজারি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট প্রমোদ মিত্তলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’ ২০০৩ সালেই একটি স্থানীয় সংস্থার হাত ধরে গড়ে ওঠে গিকিল নামে সংস্থাটি।
সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার পরমেশ ভট্টাচার্য ও আরেক সুপারভাইজারি বোর্ডের আরেক সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সেরাহাটলিক নামে ওই আইনজীবীর দাবি, ‘‘সংগঠিত অপরাধ করার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে।’’ ওই আইনজীবীর মতে, দোষ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে প্রমোদের।
আরও পড়ুন: এখনও ৩০-৪০ হাজার জঙ্গি রয়েছে পাকিস্তানে, ইমরানের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি
ওই একই অভিযোগে চতুর্থ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁকেই এই অপরাধের মূলচক্রী বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। একটি ওয়েবসাইটের দাবি, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে প্রমোদ মিত্তলদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: সিজারকে আটকে দেওয়া ‘অ্যাস্টেরিক্স’ কি বাস্তবেও ছিল? কবর ঘিরে চাঞ্চল্য