ওই জলাশয়ে অবশ্য আগে থেকেই একাধিক গাড়ি পড়ে রয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে শুধু মন্ত্রীর গাড়িই নয় একাধিক গাড়ি জলে ফেলা হয়েছে আগে থেকেই।
ছবি টুইটার
কঠিন আর্থিক সঙ্কটের জেরে গত মাস জুড়ে প্রতিবাদ-আন্দোলন তীব্র হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন ক্রমশ হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। সেই সব হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনের ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে প্রতিদিন ছড়িয়ে পড়ছে। তেমনই এক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, প্রাক্তন এক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে রাখা গাড়ি ধাক্কা দিয়ে সামনের জলাশয়ে ফেলে দিচ্ছেন বিভোক্ষকারীরা।
ওই জলাশয়ে অবশ্য আগে থেকেই একাধিক গাড়ি পড়ে রয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে শুধু মন্ত্রীর গাড়িই নয় একাধিক গাড়ি জলে ফেলা হয়েছে আগে থেকেই।
ভিডিয়োটি নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছেন এক শ্রীলঙ্কাবাসী। ওই ভিডিয়োটির শেষে রয়েছে এক আন্দোলনকারীর সাক্ষাৎকার। তিনি বলছেন, ‘‘গ্যাস নেই, জ্বালানি নেই, এমনকি জরুরি ওষুধও নেই। সাধারণ মানুষ একবেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।’’
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কা এই প্রথম এত প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়ল। ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি আকাশছোঁয়া দাম জ্বালানি তেলের। গত মাসে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কারণে রাজাপক্ষে সরকারের পদত্যাগ চেয়ে পথে নামেন সাধারণ মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার ২৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছে রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে। তাঁর লক্ষ্য এখন ঋণে জর্জরিত দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটানো।