জলকামান দিয়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা (বাঁ দিকে)। ওই জলে শ্যাম্পু বিক্ষোভকারীদের। ছবি: টুইটার।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান এনেছিল পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে এগোতেই সেই জলকামান দেগে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টাও করল পুলিশ। কিন্তু তাদের চমকে দিয়ে বিক্ষোভকারীরা পকেট থেকে শ্যাম্পুর প্যাকেট বার করে মাথায় ঢেলে নিলেন। আর জলকামান থেকে ছিটকে আসা জলে ধুয়ে নিলেন মাথা। এমনই অভিনব প্রতিবাদ দেখল শ্রীলঙ্কা।
রবিবার জাফনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের কথা ছিল প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের। তাঁর সফরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তামিল গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা পুলিশ নাল্লুর আরাসাতি রোড এবং ভাইমান রোডের সংযোগস্থলে ব্যারিকেড করে রেখেছিলেন। কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভেঙে শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী কয়েকশো তামিল এগোতে শুরু করলে জলকামান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই বিক্ষোভকারীরা ওই জলে শ্যাম্পু করেন, মাথা ধুয়ে নেন। স্তম্ভিত হয়ে যায় পুলিশও।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আর্থিক সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা সরকার সম্প্রতি বাজেটে কাটছাঁটের কথা ঘোষণা করে। শুধু তাই-ই নয়, বেতন এবং পেনশনেও কাটছাঁটের কথা ঘোষণা করা হয়। আর তাতেই জনরোষ ছড়ায়। প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিঙ্ঘে গত সপ্তাহেই রাজ্যের খরচে ৫ শতাংশ কাটছাঁটের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এ ছাড়াও বলা হয়েছিল যে, দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলিকে যে টাকা দেয় সরকার, এ বার তা দিতে কিছুটা দেরি হতে পারে। সরকারের মুখপাত্র বান্দুলা গুণবর্ধনে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আগামী দিন আর্থিক সঙ্কট আরও ঘোরতর হতে চলেছে। আর তার জন্যই সরকারি খরচে অনেক কাটছাঁট করার কথা বলা হয়েছে। সরকারি অনুদানেও এর প্রভাব পড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি।”
প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলরা। রবিবার সেই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে জাফনার একাংশে।