গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শোনা গিয়েছিল বুধবার রাতে মলদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীলঙ্কার সংবাদপত্র ডেইলি মিরর জানিয়েছে, এখনও মলদ্বীপের রাজধানী মালেই রয়েছেন পলাতক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। অন্য একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিকে একটি বিশেষ জেট বিমানের বন্দোবস্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। উদ্দেশ্য সিঙ্গাপুরে পাড়ি দেওয়া।
অন্তর্ধানের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সরকারি ভাবে গোতাবায়ার ‘অবস্থান’ জানানো হয়নি। আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পদ থেকেও ইস্তফা দেননি তিনি। জনরোষ এড়াতে বুধবার ভোরে কলম্বো ছেড়ে পালিয়েছিলেন তিনি। মালে পৌঁছনোর পরে টেলিফোনে শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের স্পিকার য়ুপা অবেবর্ধনেকে জানিয়েছিলেন বুধবারই পদত্যাগ করবেন। এর পর দুপুরে অবেবর্ধনে সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা জানান। সেই সঙ্গে আগামী ২০ জুলাই নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথাও ঘোষণা করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত ইস্তফার খবর মেলেনি।
রাজনৈতিক সঙ্কটের এই আবহে শ্রীলঙ্কা সেনা এবং পুলিশের তরফে পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে অশান্তি থামাতে সর্বদল বৈঠক ডাকার আবেদন জানানো হয়েছিল। তা মেনে নিয়েছেন অবেবর্ধনে। গোতাবায়া দেশ ছাড়ার পরে বুধবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেও ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের নিশানা হয়েছেন তিনি। তাঁর সরকারি দফতর তথা বাসভবনেও বুধাবর বিকেলে হামলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গোতাবায়া ইস্তফা না দিলে শ্রীলঙ্কায় সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। যদিও গোতাবায়ার দল শ্রীলঙ্কা পড়ুজনা পেরুমুনা (এসএলপিপি)-র একটি সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে পৌঁছনোর পরে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি।